মীরসরাই উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ৯ বিদ্রোহী প্রার্থীই এখন আলোচ্য বিষয়। গত ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত শেষ দুদিন নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত এসব প্রার্থীদের মধ্যে ৫ ইউনিয়নে বিদ্রোহী হেভিওয়েট প্রার্থীরা নৌকার বিপক্ষে ফ্যাক্টর হতে পারে এমনটাই মনে করছেন অনেকে। যা এখন আলোচনার বিষয়ে রুপান্তরিত হয়েছে।
১৬ ইউনিয়নের মধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত নৌকা প্রতীকের বাহিরে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে হেভিওয়েট আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় প্রার্থী থাকায় নৌকার বিজয় নিয়ে এখনই সংশয় প্রকাশ করছে অনেকে। এর মধ্যে ৯নং মীরসরাই
সদর ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল্লাহ দিদার। এছাড়া আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারী খায়রুল বাশার ফারুক। এখানে নৌকার প্রার্থী সামছুল আলম দিদারের জন্য বিজয় কঠিন হয়ে যেতে পারে যে কোন মেরুকরনে। ১২নং খৈয়াছরা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মাহফুজুল হক জুনুর প্রতিপক্ষ হিসেবে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা জাহেদ ইকবাল চৌধুরী। তিনি এলাকাবাসীর কাছে সুপরিচিত। তাই নৌকা নিয়ে সকলের মনেই সন্দেহ অমূলক নয়। ১০নং মিঠানালায় নৌকার বিপক্ষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামলী লীগের সাবেক সভাপতি তাহেরন ভূঞা। বর্তমান নৌকার প্রার্থী এডভোকেট আবুল কাশেমের জন্য এই প্রবীণ নেতাকে হারানো সহজ হবে মনে করছে না বিভিন্ন মহল। ৩ নং জোরারগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম ভূঞা। এখানে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম মাস্টার ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকলে ও নৌকার নিরবিচ্ছিন্ন নিরঙ্কুশ বিজয়ে বহুমুখি বাধার কালো মেঘ রয়ে গেছে। ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নেও নৌকার প্রার্থী সোনা মিয়া সওদাগরের বিপক্ষে বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান ইফতেখার উদ্দিন পিন্টু নিরবচ্ছিন্ন বিজয়ী হবার পথে বাধা দিতে চাইবেন। সব মিলিয়ে এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা সরাসরি দলের লোক বলে এসব ইউনিয়নে এখন থেকে তুমুল উত্তেজনার খবর ইতোমধ্যেই জানা গেছে।