ঢাকা ও চট্টগ্রামে তদন্তাধীন সাত মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা পাচারের তথ্য হাই কোর্টকে দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম মোমিনুল হক ওরফে সাঈদের নাম।
বিডিনিউজের। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও দুবাইয়ে টাকা পাচার করেছেন বলে সিআইডির প্রতিবেদনে তথ্য দেওয়া হয়েছে। তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন, ফরিদুপরের বোয়ালমারীর রাজীব হোসেন রানা, নেত্রকোনার বারহাট্টার জামাল, কুমিল্লার দাউদকান্দির শরিফুল ইসলাম ও আউলাদ হোসেন, ফেনীর ছাগলনাইয়ার এনামুল হক, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মো. শাহজাহান বাবলু, চট্টগ্রামের খুলশীর নাজমুল আবেদীন, সোহেল আবেদীন, পাহাড়তলী এলাকার এ কে এম জাহিদ হোসেনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজন। এছাড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রামের এ অ্যান্ড বি আউটারওয়্যার অ্যান্ড নর্ম আউটফিট অ্যান্ড একসেসরিজ লিমিটেডের নাম রয়েছে।
বাংলাদেশের কত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে কত টাকা টাকা পাচার করেছে, আদালত সেই তথ্য জানতে চাওয়ার প্রেক্ষিতে গত ১২ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইডি; যেটি আদালতে উপস্থাপনের অপেক্ষায় আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের নাজমুল আবেদীন, সোহেল আবেদীন, এ কে এম জাহিদ হোসেন ও অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনসহ এ অ্যান্ড বি আউটারওয়্যার অ্যান্ড নর্ম আউটফিট অ্যান্ড একসেসরিজ লিমিটেড ৪০ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার টাকা পাচার করেছেন। সেই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০১ মিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য প্রতিবেদনে দিয়েছি সিআইডি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জোনরেল এ কে এম আমনি উদ্দিন মানিক বলেন, অর্থ পাচার সংক্রান্ত সিআইডির প্রতিবেদনটি আমরা পেয়েছি। এতদিন মহামারীর কারণে নিয়মিত কোর্ট না থাকায় আদালতে তা উপস্থাপন করা হয়নি। নিয়মিত আদালত চালু হলে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।