আগামীকাল শনিবার থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দুটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বন্দর হাসপাতাল কেন্দ্রে ফাইজারের এ টিকা দেয়া হবে। এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাতে ফাইজারের ১৬ হাজার ৩৮০ ডোজ টিকা চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজাদীকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ১৬ হাজার ৩৮০ ডোজ ফাইজারের টিকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে এসব টিকা আমরা গ্রহণ করেছি।
ফাইজারের টিকা কেবল দুটি কেন্দ্রে প্রয়োগ করা হবে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, কেন্দ্র দুটি নিজেদের তত্ত্বাবধানে এই টিকা প্রয়োগ করবে। তবে যেদিন থেকে প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে, সেদিন থেকে ওই দুটি কেন্দ্রে অন্য টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ থাকবে। এই দুটি কেন্দ্রে যারা আগে থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তারাই এ টিকা পাবেন বলেও জানান সিভিল সার্জন।
শনিবার থেকে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা হবে জানিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে বলেন, যেখানে সেখানে এ টিকা প্রয়োগ করা যাবেনা। শুধু শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) সুবিধা থাকা কক্ষে এ টিকা প্রয়োগ করতে হবে। এ ধরনের সুবিধা থাকা আমাদের তিনটি কক্ষে আমরা ফাইজারের টিকা দিবো। তবে সেদিন থেকে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ বন্ধ থাকবে। যদিও দ্বিতীয় ডোজ চলবে। যথারীতি দুপুর ২টার পরই এ টিকা দেয়া হবে। প্রথম দিন ১ হাজার ৮০০ জনকে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে জানিয়ে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তানজিমুল ইসলাম বলেন, যারা যেদিনের জন্য এসএমএস পেয়েছেন ওই নির্ধারিত দিনেই তাদের টিকা নিতে হবে। আগে-পরে দেয়া হবেনা। অর্থাৎ এসএমএস-এ টিকা গ্রহণের জন্য শনিবার উল্লেখ থাকলে তাদের শনিবারই টিকা নিতে হবে। আগে-পরে টিকা নেয়ার সুযোগ নেই। শনিবারের জন্য ১৮০০ জনকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। ওই ১৮০০ জনকেই টিকা দেয়া হবে। বন্দর হাসপাতাল কেন্দ্রে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেয়া হতে পারে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, এতদিন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা, সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা পেলেও ফাইজারের টিকা পায়নি চট্টগ্রাম। সংরক্ষণ সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে রাজধানীর বাইরে অন্য কোথাও এ টিকা সরবরাহ করা হয়নি। কেবল রাজধানী ঢাকাতেই ফাইজারের এই টিকার প্রয়োগ চলছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন- ফাইজারের টিকা মাইনাস ৬০-৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। রাজধানী ঢাকা ছাড়া এ তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণের সুবিধা দেশের অন্য কোন শহরে নেই। যার কারণে রাজধানীর বাইরে কোথাও ফাইজারের টিকা সরবরাহ ও প্রয়োগ করা হয়নি। তবে ফ্রিজারসহ বিশেষ ব্যবস্থায় অন্যান্য সিটিকর্পোরেশন এলাকাতেও এখন ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরেও এই টিকার প্রয়োগ অবশেষ শুরু হচ্ছে।