রাজশাহীর রাজু হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনের যাবজ্জীবন

| বুধবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

রাজশাহীর নিউ মার্কেট এলাকায় ১১ বছর আগে চাঁদার দাবিতে কলেজছাত্র রাজু আহমেদকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার রায়ে বাকি ৯ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় দেলোয়ার নামে এক তরুণকে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। এ মামলায় ৫ জনকে একবছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া মামলার আরও ৪৬ আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।
রাজু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজশাহী নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার আজিজুর রহমান রাজু, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, মো. রিংকু ওরফে বয়া, দুর্গাপুর উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন এবং বাগমারা উপজেলার মাদারীগঞ্জ গ্রামের মাহাবুর রশীদ রেন্টু। তাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান। এ মামলার ১৫ আসামির মধ্যে একজন বিচার চলাকালে মারা যান। বাকি ১৪ জন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত রাজুর বাড়ি বাগমারা উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে। মাদারীগঞ্জ বাজারে তার বাবা এছার উদ্দীনের একটি গয়নার দোকান ছিল। আসামি মাহাবুর রশীদ রেন্টুর সঙ্গে রাজুর পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে রেন্টু ২০১০ সালে রাজুদের দোকানে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু টাকা না পেয়ে দোকানে ভাঙচুর চালায় রেন্টুর লোকজন। রাজু ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আসামিরা হুমকি দিতে থাকলে তিনি পালিয়ে রাজশাহী শহরে এক বন্ধুর সঙ্গে মেসে থাকতে শুরু করেন। ওই বছর ১৫ মার্চ রেন্টু ও তার ভাড়া করা খুনিরা রাজুকে নিউ মার্কেট এলাকায় ছুরি মেরে হত্যা করে। সে সময় রাজু রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরের দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। পরে রাজুর বাবা এছার উদ্দীন ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারে ৫৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শুনে মঙ্গলবার আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত রায় দিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত বাবুল মিয়া (৫৪) উপজেলার বনগজ গ্রামের নসু মিয়ার ছেলে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ববিরোধের জেরে ওই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (২০) নামে এক তরুণকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ারের চাচা মনির মিয়া বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবড় হয়ে উঠেছে আমলা লীগ : মির্জা ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধআবু মোহাম্মদ তবিবুল আলমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ