পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে আগামী ২০ অক্টোবর চট্টগ্রামে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ৮টায় মুরাদপুরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে জশনে জুলুস বের হবে। এবারের জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরীফের হজরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০ অক্টোবর বুধবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে সম্মিলিত জশনে জুলুস (শোভাযাত্রা) শুরু হবে। নগরীর বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ, অলিখাঁ মসজিদ, চকবাজার, প্যারেড মাঠের উত্তর-পূর্ব পাশ, চন্দনপুরা, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, কদম মোবারক, চেরাগি পাহাড় মোড়, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, আলমাস-ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেইট প্রদক্ষিণ করবে শোভাযাত্রা। এরপর আবার সুন্নিয়া মাদরাসার মাঠে ফিরবে। সেখানে মিলাদ মাহফিল, জোহরের নামাজ আদায় এবং দোয়া-মোনাজাত হবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও জশনে জুলসে লাখো মানুষের সমাগম হবে বলে আশা আয়োজকদের। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং চট্টগ্রামের বাইরের জেলাগুলো থেকে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশকে নিজ নিজ জেলা সদরে ২০ অক্টোবর শোভাযাত্রা আয়োজনের জন্য বলা হয়েছে। শোভাযাত্রা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণের সময় যাতে কোনো বিপদ না ঘটে, সেজন্য নালা-নর্দমার উপরিভাগ যেন উন্মুক্ত না থাকে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত গেজেটে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঘোষণায় রাষ্ট্রপতির একটি প্রজ্ঞাপনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) দিন সরকারি বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে জাতীয় পতাকা উড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) মর্যাদা আরও এক ধাপ বৃদ্ধি করেছে। এই মহৎ পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের শুকরিয়া আদায় করছি। দাবি জানাচ্ছি সরকারি উদ্যোগে যেন ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে জশনে জুলুসসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। চট্টগ্রামের জশনে জুলুসকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো যাতে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ ঘোষণা করে সেই দাবিও তুলে ধরা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ সামশুদ্দীন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী সামশুর রহমান, জামেয়ার চেয়ারম্যান মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ, যুগ্ম মহাসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মাওলানা আবদুল্লাহ, সাবের আহমদ প্রমুখ।












