মণ্ডপে প্রস্তুতি শেষ। আজ সকাল পৌনে ৭টায় দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ, বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনব্যাপী এ উৎসব।
দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে পূজা মন্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোটকে আগমন মানেই ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। অর্থাৎ এই সময়ে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনা থাকে। পঞ্জিকা বলছে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা।
এবার সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সারাদেশে ৩১ হাজার ৩৯৮টি ও ২০২০ সালে ৩০ হাজার ২১৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের চেয়ে এবার পূজার সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৯০৫টি। দুর্গাপূজা শুরুর একদিন আগে গতকাল মণ্ডপগুলোতে সাজসাজ রব চলে; কোথাও কোথাও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করেন কারিগররা। রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, জেএমসেন হল, হাজারি গলি, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, রাজাপুকুর লেইনসহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী সব মন্দির ও মণ্ডপে এবার পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির : পাথরঘাটাস্থ শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরের ভক্তবৃন্দের উদ্যোগে আজ থেকে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব ও কুমারী পূজার আয়োজনা করা হয়েছে। এতে পৌরোহিত্য করবেন শ্যামানন্দ দাস (শ্যামল সাধু) মোহন্ত মহারাজ। এখানে অষ্টমীর দিন সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা।