চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সাবেক জিএস বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম জিলানী চৌধুরীর নাগরিক শোকসভায় বক্তারা বলেছেন, গোলাম জিলানী চৌধুরী একজন আদর্শবাদী নেতা ও কর্মীবান্ধব জননেতা ছিলেন। তিনি কখনো আদর্শ বিসর্জন দেননি। যদি আদর্শ বিসর্জন দিতেন তাহলে গোলাম জিলানী চৌধুরী মন্ত্রী-এমপি ও আরও অনেক বড় কিছু হতে পারতেন, কিন্তু তিনি কখনো তাঁর নীতি আদর্শ থেকে এক পাও পিছু হটেননি। দেশের অনেক রাজনীতিবিদ তাঁকে মন্ত্রী-এমপি বানাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সেই পথে হাঁটেননি। তিনি আজীবন জাসদের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন কামনা করেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সৎ ও নীতিবান মানুষ হিসেবে গোলাম জিলানী চৌধুরীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তাঁর নাম সোনালী অক্ষরে লেখা থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বীর যোদ্ধার অবদান স্মরণীয়। গতকাল শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদের (এলামনাই) উদ্যোগে আয়োজিত চাকসুর প্রাক্তন জিএস গোলাম জিলানী চৌধুরী নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি, সিনেট সদস্য স ম নজরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর সেকান্দর খান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. এম এ গফুর, প্রফেসর মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, প্রফেসর ডা. রাশেদা বেগম, রাজনীতিবিদ একরামুল করিম, চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহারুল হক চৌধুরী, ভিপি নাজিম উদ্দিন, এ বি এম সরওয়ার জাহান, প্রফেসর রফিক, চবি প্রথম ব্যাচের ছাত্র অলক দাশ, মীর মাহফুজুর রহমান, শাহ আলম নিপু, এস এম জাকের হোছাইন, ছগির আহাম্মদ, ড. এনায়েত পাটোয়ারী, কাজী জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ ফয়েজ, এম এ ফয়েজ ভূঁইয়া, মীর মাহফুজুর রহমান, সরোজিৎ বড়ুয়া, দীলিপ কুমার দাশ প্রমুখ। শোক প্রস্তাব করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক তমিজ উদ্দিন খান সিদ্দিকী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।