মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো প্রভাব পড়বে না জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ না থাকলেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না। তাকে হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা যেহেতু তাদের আশ্রয় দিয়েছি তাতে আমাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে ক্যাম্পে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিতদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। কুতুপালং ১-ইস্ট ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কুতুপালং বর্ধিত ৪-নম্বর ক্যাম্প মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গতকাল সকাল ১১টার দিকে পররাষ্ট্র সচিব উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ১-ইস্ট ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন। এসময় তিনি ও তার সঙ্গীয় টিম রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাস্থল এআরএসপিএইচ এর অফিস পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি নিহত মুহিবুল্লাহর পরিবার ও তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা মুহিবুল্লাহর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ক্যাম্পে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্যও বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ চলমান রয়েছে। ভাসানচর প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ যুক্ত হয়েছে। আস্তে আস্তে সব কিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসছে।
পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম ইউরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহাসচিব ফাইয়াজ মুর্শিত কাজী, পররাষ্ট্র সচিব দপ্তরের মহা-পরিচালক মোহাম্মদ আলীমুজ্জামান, সহকারী সচিব মো. শোয়াইব-উল-ইসলাম তরফদারসহ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন, কঙবাজার জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও এপিবিএন পুলিশের কর্মকর্তারা।