সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ

তদন্ত টিমের বান্দরবানের গুদাম পরিদর্শন

বান্দরবান প্রতিনিধি | বুধবার , ৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানে সরকারি ওএমএসের চাল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম জেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান জেলার জন্য বরাদ্দকৃত কয়েক ট্রাক ওএমএস এর সরকারি চাল চট্টগ্রামের দোহাজারি এলাকায় কালো বাজারে ব্যবসায়ীদের বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়াও কক্সবাজার রোহিঙ্গাদের বরাদ্দের কয়েক ট্রাক চাল বস্তা পাল্টিয়ে রাতের আঁধারে বান্দরবান জেলা খাদ্য গুদামে গুদামজাত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান খাদ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম জেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে বান্দরবানের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাঙামাটি জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুমাইয়া নাজনীনও উপস্থিত ছিলেন।
তবে কালো বাজারে চাল বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান বলেন, তিন মাস অন্তর উর্ধতন কর্মকর্তারা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও গুদাম পরিদর্শন করেন। গত কয়েকদিনে বান্দরবান জেলা গুদাম থেকে ৪শ টন চাল পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং সরকারি সংস্থার ডিও লেটারে ছাড় দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় চালের ডিও ব্যবসায়ী ও পৌর শাখা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার কোনো চালের গাড়ি কোথাও আটক হয়নি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চালের ব্যবসা আমি করি না। তবে গত কয়েকদিনে খাদ্য গুদাম থেকে পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং সরকারী একটি সংস্থার ডিও কেনা প্রায় চারশ মেট্টিক টন চাল চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করেছি।
এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাঙামাটি জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুমাইয়া নাজনীন বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, অফিসিয়াল রুটিন পরিদর্শনে খাদ্য গুদাম গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাসহ। এটি অফিসিয়াল রুটিন কাজের অংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে একই রাতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বাসা ও মন্দিরে চুরি
পরবর্তী নিবন্ধচাঁদা না পেয়ে বাড়ির মালিককে মারধর