ক্লিন ফিড পাঠানো চ্যানেল না দেখালে ব্যবস্থা : তথ্যমন্ত্রী

| বুধবার , ৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে ক্লিন ফিড পাঠানো বিদেশি চ্যানেল কেবল অপারেটররা সমপ্রচার না করলে আজ বুধবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আশেপাশের সব দেশেই এ আইন কার্যকর আছে। একটি মহল নানা অজুহাতে আইন কার্যকর করতে দেয়নি। একটি পক্ষ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তা নয়, সেটিকে পুঁজি করে কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছিল, সেগুলো হালে পানি পায়নি। আমরা এবার বদ্ধপরিকর আইন কার্যকর করতে। কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে সেটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজের।
ক্লিন ফিড মানে হলো, তাতে কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না। বাংলাদেশে দেখানো বিদেশি চ্যানেলে বিদেশি বিজ্ঞাপনও দেখা যায়। তা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ার পর শুক্রবার থেকে ৬০টির মতো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সমপ্রচার বন্ধ করে দেয় দেশের পরিবেশক ও কেবল অপারেটররা। তাদের ভাষ্য, এগুলোর ক্লিন ফিড তারা পাচ্ছিল না বলে বিজ্ঞাপন ছেঁটে সমপ্রচার করতে পারছিল না।
এরপর তথ্য মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় বিবিসি, সিএনএনসহ ২৪ চ্যানেল সমপ্রচারের নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, এগুলোতে কোনো বিদেশি বিজ্ঞাপন নেই। এগুলোর ফিড ক্লিন রয়েছে।
ফিড ক্লিন করার ক্ষেত্রে যে জটিলতার কথা পরিবেশকরা বলছেন, তা উড়িয়ে দেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে যে রকম আয়-উপার্জন হওয়ার কথা ছিল, ক্লিন ফিড না থাকায় সেটি হচ্ছিল না। যখন ক্লিন ফিড বাস্তবায়িত হবে, তখন কেউ এই অজুহাত দিতে পারবে না যে ইনকাম নেই, তাই কর্মীদের বেতন দিতে পারছি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএমপির কাছে নালিশ করার পর যা ঘটল
পরবর্তী নিবন্ধছয় ঘণ্টায় জাকারবার্গের লোকসান ৫১ হাজার কোটি টাকা