বিচার কবে পাব, আর্তি বাবার

সুদীপ্ত হত্যার চার বছর

| বুধবার , ৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

চার বছরেও সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার বিচার শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন এই ছাত্রলীগ নেতার বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, কাল (আজ) ৬ অক্টোবর। চার বছর পূর্ণ হবে। রিফাত হত্যা বা নুসরাত হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে। আমার ছেলের মামলাটাও আলোড়ন সৃষ্টিকারী। আমি কখন ছেলে হত্যার বিচার পাব?
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। অনেকদিন পেরিয়ে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর কয়েক বার মামলার তারিখে আদালতে গেছেন মেঘনাথ বিশ্বাস। কিন্তু এখনও অভিযোগ গঠন হয়নি। খবর বিডিনিউজের।
মেঘনাথ বিশ্বাস কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বয়স হয়ে গেছে। বিচার দেখে যেতে পারব বলে মনে হচ্ছে না। করোনার মধ্যে আদালত বন্ধ ছিল। এরপর যতবার ডেট পড়েছে, গেছি। এখনো অভিযোগ গঠন হয়নি। মামলাটি চালিয়ে নিতে পারবেন কিনা তা নিয়েও শঙ্কিত তিনি। বেশিরভাগ আসামি জামিনে আছে। মাঝেমাঝে তারা লোক মারফত টেলিফোনে হুমকিও দেয়। কী করব বুঝতে পারি না। ছেলে পড়িয়ে চলতে হয়। ভয়ে লালখান বাজার যাই না, ছেলে পড়াতে। সব মিলিয়ে দুরবস্থায় আছি।
তিনি বলেন, অর্থাভাবে আইনজীবী দিতে পারিনি। একজন আইনজীবী সহায়তা করছেন। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা বিচার যদি হয়, তাহলে হয়ত বিচারটা পেতে পারি।
ছেলে হারিয়ে জীবনের বোঝা টেনে নিতে হচ্ছে জানিয়ে মেঘনাথ বলেন, অর্থবল বা প্রভাব প্রতিপত্তি কিছুই আমার নেই। সুদীপ্তর মা অসুস্থ। তার হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। ছেলে হারা মা কেমন থাকে, বুঝতেই তো পারছেন। মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে গেছি। পাগল হওয়ার দশা। তবু ছেলে পড়িয়ে (টিউশনি করে) আহার যোগাড় করতে হয়। এই কাজে আজ ৪৫ বছর। আর পারি না। কিন্তু করব কী।
আগামী ১৩ অক্টোবর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য আছে জানিয়ে সুদীপ্তর বাবার আইনজীবী শাহেদুল আজম শাকিল বলেন, দুজন আসামি কারাগারে আছে। বাকিরা জামিন নিয়েছে। আর দুজন আসামি পলাতক। পলাতক আসামিরা আত্মসমর্পণ করছে না। তাই তাদের বিষয়ে আদালতের আদেশের পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করে মামলায় অভিযোগ গঠনে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।
বর্তমানে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের অধীনে সদরঘাট থানার জন্য নির্ধারিত (শুনানির দিনে) হাকিম আদালতে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা আজ
পরবর্তী নিবন্ধসোনাদিয়া বেড়াতে গিয়ে নৌকা ডুবি