প্রচারবিমুখ একজন আলোকিত, সাদামনের মানুষ ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউরোসার্জন, কিংবদন্তী চিকিৎসক, অধ্যাপক ডা. এল.এ. কাদেরী। গত ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ তিনি ইন্তেকাল করেন। মন-মানস, শিক্ষা-দীক্ষা, মতবাদ, যোগ্যতা ও জীবন যাপনের দিক থেকে বিশ্ব নাগরিক বলতে যা বুঝায় অধ্যাপক ডা. এল.এ. কাদেরী ছিলেন তার সার্থক প্রতীক।
পুরো নাম লুৎফুল আনোয়ার কাদেরী। ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ইরড়মৎধঢ়যরপধষ ঈবহঃৎব তাঁকে ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে সম্মানিত করেন এবং ঐ বছরই উরপঃরড়হধৎু ড়ভ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ইরড়মৎধঢ়যু তে বিশ্বের খ্যাতনামা ব্যক্তিদের সাথে তাঁর জীবনী প্রকাশিত হয়।
অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিগত শতাব্দীর মাঝ ভাগের আগে ১৯৪১ সালের ১লা অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগরীর দেওয়ানবাজার ৩৪৫, নবাব সিরাজদৌল্লা রোডস্থ পৈত্রিক বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম শহরেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। ১৯৫৭ সালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫৯ সালে কৃতিত্বের সাথে আই এস সি পাশ করার পর প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পরবর্তীতে পিতা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসএ ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এম বি বি এস ফাইনাল পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে স্বর্ণপদকসহ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর ১৯৬৫ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ১৯৬৮ সালের ২৯শে এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাউস সার্জন, সিনিয়র হাউস সার্জন ও ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিলাত যান। সেখানে তিনি ১৯৬৮ সালে উরঢ়ষড়সধ রহ ঠবৎহব ষড়মু, ১৯৭১ সালে ঘবঁৎড়ংঁৎমবৎু তে সারা পৃথিবীর ছাত্রদের মধ্যে কৃতিত্বের সাথে ঋজঈঝ এবং ১৯৭৭ সালে গরপৎড়ংঁৎমবৎু উপর ডিগ্রী নেন।
ডাঃ এল.এ. কাদেরীর পিতা মরহুম আবদুল লতিফ উকিল ছিলেন বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতা। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রথম মুসলিম সভাপতি, নিখিল ভারত মুসলিম লীগ, চট্টগ্রাম শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তানী কায়েমী স্বার্থবাদী শাসকচক্রের বিভিন্ন গণবিরোধী পদক্ষেপে তিনি প্রতিবাদ করেন এবং গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুরোধে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। আবদুল লতিফ উকিল চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৯ সালে লালদিঘির মাঠে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের প্রথম জনসভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। ডাঃ এল.এ. কাদেরীর মা আনোয়ারা বেগম ছিলেন মোহরারস্থ পীরে কামেল হযরত মাওলানা নূর আহমদ আল কাদেরী (রঃ) এর কন্যা। মরহুমা আনোয়ারা বেগম দানশীল ও সংগঠক ছিলেন।
১৯৭৮ সালে অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের লিখিত অনুরোধে স্বদেশে ফিরে আসেন। সে সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পরবর্তীতে দেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডাঃ বদরুজদোজা চৌধুরী ঢাকার নিউরোসার্জারী বিভাগে যোগ দিতে বললে ডাঃ এল.এ. কাদেরী স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিউরোসার্জারী বিভাগ খোলার সুযোগ দিতে অনুরোধ জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই অনুরোধ রক্ষা করেন। সেই সময়েই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিউরোসার্জারী বিভাগ খোলা হয়। অধ্যাপক কাদেরী শুরু থেকে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত এই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ইউএসটিসি’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন।
সামাজিক দায়িত্ব ও পারস্পরিক সহমর্মিতার নৈতিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বি এম এ) চট্টগ্রাম শাখার দু’বার নির্বাচিত সভাপতি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব সার্জনস্ এর সভাপতি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন’ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি, বহুবার চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। বি এম এ সভাপতি থাকাকালীন ১৯৯০ সালে তিনি পেশাজীবী জনতার নেতা হিসেবে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা রাখেন। সেই আন্দোলনে চট্টগ্রামের দু’সাহসী নেতা সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান তার পাশে ছিলেন। এ ছাড়াও ডাঃ কাদেরী ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গবফরপধষ ঝড়পরবঃু ও ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়ষষবমব ড়ভ ঝঁৎমবড়হং এর গবসনবৎ ও ঋবষষড়,ি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডায়াবেটিক সমিতি, কিডনি ফাউন্ডেশন, নাটাব, রোগীকল্যাণ সমিতি সহ বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনের আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ পেশ করেন।
১৯৭১ সালে লন্ডনে থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে ‘‘বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন” নামে সংগঠন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি মহাত্মা গান্ধী শান্তি পদক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাধীনতা পদক সহ দেশ বিদেশে বহু পদক ও সম্মাননা অর্জন করেন। ডাঃ এল.এ. কাদেরী দেশপ্রেমিক ছিলেন। তাঁর চিকিৎসক বন্ধু যাঁরা বিলেত গিয়েছিলেন সকলেই ওখানে ভাল অবস্থায় থেকে গেছেন। তাঁদের চেয়ে আরো ভালো অবস্থায় থাকলেও ডাঃ এল.এ. কাদেরী দেশের টানে বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন বিলাতের সকল সুযোগ-সুবিধা বর্জন করে।
ডাঃ এল.এ. কাদেরীর গভীর মানবিক অনুভূতি। গ্রামের বাড়ী হাটহাজারী সদর/ হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা গ্রামে দিন মজুর-খেত মজুরদের আর্থিক দুর্দশা দেখে তিনি খুবই ব্যথিত হতেন। তাদের দারিদ্র বিমোচন ও সমৃদ্ধির জন্য তিনি গ্রহণ করেন অর্থনৈতিক পদক্ষেপ। ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তিনি শতাধিক দিন ও ক্ষেত মজুরকে ঐঁসধহ ঐড়ষষবৎ, বহু রাজমিস্ত্রি ও সূতার মিস্ত্রিকে কাজের সরঞ্জামাদি কিনে দেন। বিত্তহীন ও দুঃস্থ মহিলাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেন। প্রচার বিমূখ থাকায় ডাঃ এল.এ. কাদেরীর অনেক অবদান ও অর্জন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে খরচ দিয়ে তিনি উচ্চ শিক্ষিত করেছিলেন।
ডাঃ এল.এ. কাদেরীর পরিবার খুবই ছোট। স্ত্রী সুরাইয়া কাদেরী রত্নগর্ভা। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলায় এম এ পাশ করেন। তিনি ইনার হুইল ক্লাবের ভাইস- প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমানে হাইকেয়ার স্কুল ও হিয়ারিং সেন্টারের ডিরেক্টর, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি ও চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন সমাজসেবকমূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তাছাড়াও তিনি গরীব-দুঃখী মানুষের আপনজন হিসেবে খ্যাত। একমাত্র কন্যা ড. সোনিয়া কাদেরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঢ়ঢ়ষরবফ চযুংরপং এ স্বর্ণপদক সহ এম এস সি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। বর্তমানে স্বামী ইঞ্জিনিয়ার জাফরউল্ল্যাহ আরিফ লিটনসহ আমেরিকায় বসবাস করছেন।
একমাত্র পুত্র ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদ কাদেরী বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর বিলাতের মানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে চৎড়লবপঃ গধহধমবসবহঃ এর উপর এম.এস. ডিগ্রী নেন। বর্তমানে তিনি বিলাতে কর্মরত এবং স্ত্রী ডাঃ ফারজানা নাজনীন সহ সেখানে বসবাস করছেন।
ডাঃ এল.এ. কাদেরীরা পাঁচ ভাই ও দু’ বোন। ভাইদের মধ্যে ডাঃ কাদেরী সকলের বড়। ছোট ভাইরা হলেন: পাকিস্তান আমলের খ্যাতনামা ছাত্রনেতা, ১৯৬৪ এর সর্বজনীন ভোটাধিকার আন্দোলনে ছাত্র নেতাদের মধ্যে প্রথম গ্রেফতার হওয়া নেতা এডভোকেট আবুল হাসনাত কাদেরী, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ সালের ১১ দফা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, চট্টগ্রাম সিটি কলেজের সেই সময়ের ছাত্র এডভোকেট মুহাম্মদ নূরুল আনোয়ার কাদেরী, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী ও হাটহাজারী আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আবুল মোহাছেনাত কাদেরী (সেখু), কনিষ্ঠ ভ্রাতা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্ নির্বাহী পরিষদ সদস্য, চিটাগাং এডিটরস্ কাউন্সিল ও চট্টগ্রাম সংবাদপত্র পরিষদ সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান। বড় বোন রোকেয়া বেগম বেবী। তাঁর স্বামী এডভোকেট সৈয়দ হামিদুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সংগঠক ও হাটহাজারী উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন কাউন্সিল ও পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন স্বাধীনতার আগে ও পরে। ছোট বোন জয়নাব বেগম। তাঁর স্বামী ফটিকছড়ি বাবুনগর আজমবাড়ী নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা এস.এম.আবু শমসের।
অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরীর শ্বশুর বিরল সৎ, ধার্মিক, দানশীল, সাধু ব্যক্তি মরহুম আলহাজ্ব জামালউদ্দিন আহমদ খান। তিনি চুনতির বিখ্যাত জমিদার মরহুম তৈয়বউল্লাহ খানের সন্তান। শাশুড়ী মরহুমা হেনা জামাল এদেশের নারী জাগরণের অন্যতম অগ্রদূত এবং ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের সংগঠক।
* মানবতার মহাসমুদ্রে অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী সত্য, সুন্দর, মঙ্গল, ন্যায়-নীতির অন্যতম উদ্বোধক। ডা. এল.এ. কাদেরীর আত্মীয়দের অনেকেই চিকিৎসা পেশায় সম্পৃক্ত। ছোট ভায়রা অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনূস চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।
ডা. এল.এ কাদেরী বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জিতেছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেও তাঁর সহিষ্ণুতা ও উদারতার কোন তুলনা নেই। ডা. এল.এ. কাদেরী আজ বেঁচে নেই। তাঁর নশ্বর দেহ মাটির নিচে দাফন করা হয়েছে বটে, কিন্তু তাঁর নাম ও স্মৃতি দেশের চিকিৎসা অঙ্গনের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের চিকিৎসা অঙ্গনে তাঁর যে বিশিষ্ট স্থান তা কোনদিন ভুলবার নয়। একজন ভাল ও আন্তর্জাতিক মানের শল্য চিকিৎসক হবার আগ থেকেই তিনি চিকিৎসকদের পেশাগত অধিকার আদায় ও সংরক্ষণে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন সব সময়ই। চিকিৎসক সমাজে তাঁর নেতৃত্ব বিশেষ কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
যা হোক, অধ্যাপক ডা. এল.এ কাদেরী আজ নেই। কিন্তু জাতির জন্য, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিকিৎসকদের জন্য তিনি যে পদক্ষেপ রেখে গেছেন সে পথে তারা এগিয়ে যেতে পারলে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় অর্জন আমাদের পক্ষে সহজ ও দ্রুত হবে। আমি অধ্যাপক ডা.এল.এ. কাদেরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
লেখক: অধ্যক্ষ, তাহের-মনজুর কলেজ, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম।