বন্ধ করা হোক গ্রাহক হয়রানি

| রবিবার , ৩ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের লোকজন বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাসসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অনলাইন বিল নিতে সাধারণ গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। বিশেষ করে গ্যাস-ওয়াসার বিল দিতে গেলে গ্রাহকদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে রেখে ব্যাংকের কর্মচারীরা খোঁশগল্পে মেতে উঠে। নগরীর নাজিরপুলস্থ অগ্রণী ব্যাংকে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির বিল পরিশোধ করতে গেলে ব্যাংকের জনৈক কর্মচারী সার্ভার ত্রুটির অজুহাতে বিল নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে এবং অন্য ব্যাংকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাকে সার্ভার জ্যাম বা সমস্যা থাকলে অন্য ব্যাংক থেকে কিভাবে অনলাইন পেমেন্ট হবে পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেন নি। পরে নগরীর আগ্রাবাদস্থ ব্যাংক এশিয়াতে তাৎক্ষণিক অনলাইনে বিল পরিশোধ করি। এইদিকে ব্যাংকে আসা ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, ব্যাংকের এক শ্রেণীর কর্মচারীরা গল্পগুজবে মেতে সময় কাটাতে গ্রাহকদের সরকারি সেবা সংস্থার বিল নিয়ে গ্রাহকদের এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে পাঠিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১১ সালের ১ এপ্রিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা ও হয়রানি বন্ধে ‘গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ’ সেল গঠন করলেও নিয়মিত গ্রাহকদের অভিযোগগুলো তদারকি না করার ফলে ব্যাংকের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারা সাধারণ গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছে। চট্টগ্রামের সরকারি সেবা সংস্থার সাধারণ গ্রাহকরা তাদের অনলাইন বিল পেমেন্ট নিয়ে ব্যাংকগুলোর হয়রানি বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে, যাতে তাঁরা সহজেই ব্যাংকে সরকারি সেবা সংস্থার অনলাইন বিলগুলো পরিশোধ করতে পারে।
হাজী আবদুর রহিম, মতিয়ারপুল মহল্লা কমিটি (যুগ্ম সম্পাদক), চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগোপাল হালদার : সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সার্থক প্রতিনিধি
পরবর্তী নিবন্ধশরতের রূপ