দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আধিক্য রয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দরবৃদ্ধির কারণে আমাদের দেশেও এর প্রভাব পড়ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা হঠাৎ করে পেঁয়াজের বুকিং দর বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মিয়নমারের পেঁয়াজের দামও।
নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত চার পাঁচদিনের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৩ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজিতে ৭ টাকা টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৯-৪০ টাকায়। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের বাজার দীর্ঘ সময় ধরে একপ্রকার কমতির দিকে ছিলো। বেচাবিক্রিও কমে যায়। তবে ভারতের বাজারে শুনেছি প্রতি কেজিতে ৭ রুপি পর্যন্ত দাম বেড়ে যায়। এর প্রভাবে আমাদের দেশেও দাম বেড়েছে। আমাদের দেশে সিংহভাগ পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারত থেকে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা কমে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অতীতে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় দাম কেজিতে ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়।












