স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে মহেশখালীতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প, এক্সক্লোসিভ ট্যুরিস্ট জোন ও অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশে বৈপ্লবিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে। এই মহেশখালী এখন সোনার মহেশখালীতে রূপান্তরিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে এদেশ আর অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকবে না। গতকাল মঙ্গলবার মহেশখালীতে নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর ও কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে গতকাল সকাল ১১টায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল দুটি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। প্রতিনিধিদলটি দুপুর সাড়ে ১২টায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এর হল রুমে মতবিনিমিয় সভায় মিলিত হন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, আইজিপি বেনজীর আহমেদ, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ শাফিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, কোস্টগার্ডের উপপরিচালক কমোডর এনামুল হক, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল ফাত্তাহ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ জাফর আলম, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, মহেশখালী-কুতুবদিয়া সার্কেলের এএসপি মো. জাহেদুল ইসলাম, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান, থানার ওসি আব্দুল হাই প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দফা মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় সভায় প্রকল্পের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি আইনশৃক্সখলা বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা শেষে মন্ত্রী বিকাল ৪টায় হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজারের পথে রওয়ানা দেন। তিনি আজ বুধবার কক্সবাজার থেকে আকাশ পথে ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।












