ভ্রমণের ক্লান্তি ভোলায় মুরুং ঝর্ণা

বান্দরবান প্রতিনিধি | সোমবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানে ভ্রমণপিপাসুদের মূল আকর্ষণ হচ্ছে পাহাড়ের ছোট-বড় অসংখ্য ঝর্না। এর মধ্যে পাহাড়ের চূড়া থেকে ঝরে পড়া মুরুং ঝর্ণা ভ্রমণপিপাসু মানুষদের নতুন আকর্ষণ।
প্রশশাসন ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নে মুরুং ঝর্ণার অবস্থান। বান্দরবান-লামা, সূয়ালক সড়কের মাঝেরপাড়া হয়ে হেডম্যান পাড়া পর্যন্ত গাড়ির পথ। তারপর সেখান থেকে পাহাড়ি ঝিরি পথে এক ঘন্টা পায়ে হাঁটার পর পাহাড়ের ম্রো জনগোষ্ঠীদের গ্রাম। মুরুং অধ্যুষিত জনগোষ্ঠীদের পাহাড়ী গ্রাম এলাকায় অবস্থান হওয়ায় স্থানীয় ভ্রমণকারীদের মুখে মুখে ঝর্ণাটির নামকরণ হয়েছে মুরুং ঝর্ণা।
স্থানীয় ভ্রমণকারী সাইফুল সনেট বলেন, জেলার অসংখ্য ঝর্ণা ঘুরে বেড়িয়েছি। কিন্তু মুরুং ঝর্ণাটি অন্যসব ঝর্ণার সৌন্দর্যের চেয়ে একটু আলাদা মনে হলো। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকা এবং পাহাড়ী ঝিরিপথে বিপজ্জনক পথ হওয়ায় ঝর্নাটি এখনো আলো ছড়াতে পারেনি।
স্থানীয় সাংস্কৃতিককর্মী ফটোগ্রাফার নাছির উদ্দিন জুয়েল বলেন, বিপজ্জনক ঝিরি পথেই পায়ে হেটে যেতে হয় মুরুং ঝর্ণায়। বিকল্প কোনো পথ নেই। তবে গন্তব্যে পৌছানোর পর ঝর্ণার রূপ দেখে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
সূয়ালক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বলেন, মুরুং ঝর্ণাটি খুবই সুন্দর। প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে মুরুং ঝর্ণাটি দেখতে ভীড় জমাচ্ছে মানুষ। স্থানীয়রা দর্শনার্থীদের ভ্রমণে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, পর্যটকদের সুবিধার্থে নতুন নতুন দর্শনীয় স্থান খুঁজে বের করা হচ্ছে। মুরুং ঝর্না তারমধ্যে একটি। পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ এবং দর্শনীয় স্থানগুলোর উন্নয়নে সরকার নানামুখী প্রদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে পুরানো পর্যটন স্পটগুলোর সৌন্দর্য বর্ধণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত তিন বাংলাদেশী উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ির পর্যটন অর্থনীতির বিকাশ