চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতকে। এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ। এবার গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১.৫২ শতাংশ। অপরদিকে বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চবির ২০২০-২১ অর্থ বছরে আপ্যায়ন বাবদ ৩৭ লাখ এবং শাটল ট্রেন বন্ধ থাকলেও ২০ লাখ টাকার ব্যয় দেখানো হয়েছে। এছাড়া বাল্ব বাবদ ৭ লাখ এবং নববর্ষ উদযাপন খরচ বাবদ ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিনেট সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে ৩৩তম বার্ষিক সিনেট সভায় এই বাজেট উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেনু কুমার দে।
বাজেট প্রস্তাবকালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছ থেকে ৫৫১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ৩৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেট ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বছরের অনুমোদিত বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ।
এদিকে অনুমোদিত বাজেটে শিক্ষার্থী প্রতি বাৎসরিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৬১ টাকা। বাজেটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে পেনশন ব্যয় ৫৫ কোটি ৩ লাখ, পরীক্ষকদের পারিতোষিক ব্যয় ১ কোটি, বিদ্যুৎ বিল ৬ কোটি, গাড়ির জ্বালানি ব্যয় ৩ কোটি, চিকিৎসায় ৫৮ লাখ, টেলিফোন পরিবহন ১ কোটি ৮৫ লাখ, বইপত্র, সংবাদপত্র ও সাময়িকী খাতে ৮৩ লাখ টাকা এবং প্রকাশনা খাতে ১৮ লাখ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, আগামী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে গুরুত্বারোপ করে সকল পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তাছাড়া এবারের বাজেটে  হচ্ছে গবেষণা খাতে আগের থেকে আরো বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে চবির অবস্থানকে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা মান ও পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।
পরে বাজেটের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন সিনেট সদস্য সাংসদ মো. নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আফতাব হোসেন প্রামাণিক, জীববিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন মাহবুবুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মো. নুরুল হুদা, প্রফেসর শেখ আফতাব আলী প্রমুখ।
        











