আর কদিন পর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। তামিমের স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাকে দুইভাবে দেখা হচ্ছে। একপক্ষ স্বাগত জানিয়েছে। অন্য পক্ষ বলছে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলে যাচ্ছেন নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলতে। তাই সমালোচনা করছেন অনেকেই। আর সে সমালোচকদের জবাব দিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী। গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপে দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আমাদের সাথে তামিমের যে পরিকল্পনা ছিল তাতে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগ খেলাটা তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ারই একটা অংশ। দেবাশীষ বলেন ওই টুর্নামেন্টে খেলার মধ্য দিয়েই বোঝা যাবে তামিম স্কিল ও অন্যান্য বিষয়গুলো কিভাবে ম্যানেজ করতে পারছে। তার ওপর নির্ভর করে তার চিকিৎসা পদ্ধতি ও করণীয় ঠিক করা হবে।
ডা. দেবাশীষ জানান এখন পর্যন্ত যে অবস্থা তাতে তামিম বেশ আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। স্কিল ট্রেনিংগুলোও করতে পারছে এবং সেটা প্রায় পুরো প্রচেষ্টা দিয়ে। কিন্তু খেলার ব্যাপারটা অন্যরকম। যতক্ষণ পর্যন্ত সে প্রকৃত খেলার মধ্যে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে ঠিকমতো বুঝতে পারবে না। সুতরাং এই লিগে অংশ নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। তাহলে একটা ফিডব্যাক পাবো পরবর্তীতে কি করবো।
তামিমের বর্তমান পুনর্বাসন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, তামিমকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৮ সপ্তাহের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য। সে গত মাসখানেক ধরে পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুসরণ করেছে জাতীয় দলের ফিজিও ও ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে। অধ্যবসায় ও কষ্টের সাথে এই জটিল ও দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অনেকটা শেষ করে এনেছে। কয়দিন আগে থেকে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের নেটে ব্যাটিং প্র্যাকটিসও শুরু করেছেন। দেবাশীষ চৌধুরীর আশা দেশসেরা ওপেনার এভাবে অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারলে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলতে কোনো অসুবিধা হবে না। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক বলেন গত ২-৩ দিন ধরে ও স্কিল ট্রেনিং শুরু করেছে তামিম। ফিল্ড ড্রিল শুরু করেছে এবং আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে। আমরা আশাবাদি যে, যেহেতু আরও সময় আছে, সেহেতু তামিম যদি এভাবে চালিয়ে নিতে পারে তাহলে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলার যে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে তাতে কোনো সমস্যা হবে না।