সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস তবারক হত্যাকাণ্ড ও কিছু স্মৃতি

জামশেদুল আলম চৌধুরী | সোমবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ


১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মূলত বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে এদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। এ লক্ষ্যে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আল বদর, জামাত, মুসলিম লীগাররা নতুনভাবে সংগঠিত হওয়া শুরু করে। সেই সময় সামরিক শাসক জিয়ার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পাকিস্তান আমলের দুর্ধর্ষ খুনি ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের নাম পাল্টিয়ে ‘ইসলামী ছাত্র শিবির’ নামে আত্মপ্রকাশ করে। তাদের কাজ ছিল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের এবং আল্লাহ্‌ রাসুলের (সাঃ) -এর কথা বলে কোমলমতি ছাত্রদের দলে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে একটি সামপ্রদায়িক শক্তি গড়ে তোলা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তারা বিভিন্ন ছদ্মনামে সংগঠন করে গোপনে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। তন্মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, পলিটেকনিকেল কলেজ ও কঙবাজার সরকারি কলেজে ‘উচ্চারণ’ নামে তাদের একটি সংগঠন ছিল। এ সংগঠনের কাজ ছিল সাহিত্য ও সংস্কৃতির নামে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করা। এর মাধ্যমে তারা সদস্য সংগ্রহ করে তাদের নিয়ে বিভিন্ন সভা ও বৈঠক করতো। মূলত তারা অরাজনৈতিক সংগঠন পরিচয়ে গোপনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কোমলমতি ছাত্রদের সংগঠিত করতো, যা পরবর্তীতে দেখেছি এই ‘উচ্চারণ’র চট্টগ্রাম সভাপতি জাহাঙ্গীর কাসেম ৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ছাত্র শিবিরের চট্টগ্রাম কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিল। অন্যদিকে জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে কাজ শুরু করে। তখনকার দিনেও ছাত্রলীগ চট্টগ্রামে দুই ধারায় বিভক্ত ছিল। একটি ধারা ছিল প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর, অন্যটি আরেক প্রয়াত নেতা এসএম ইউসুফ ভাইয়ের। তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন আজকের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জনাব বাহালুল মজনুন চুন্নু। ৭৫’ এর পরে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে ছিলেন এম এন ইসলাম, এম এ জাফর, অধ্যাপক শওকত, রেজাউল করিম চৌধুরী, খালিকুজ্জামান মাহফুজুর রহমান খান, শফিউল বশর, সাদেক চৌধুরী, এম এ মান্নান, জমির চৌধুরী, আ.ক.ম শামসুজ্জামান, সফর আলি, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, বশির উদ্দিন মাহমুদ, মোঃ ইউনুস, জানে আলম, মোঃ ইউসুফ, শফিকুল হাসান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন আবেদীন ভাই, খোরশেদ আলম সুজন ও বখতিয়ার উদ্দিন খান প্রমুখরা। এই নেতারা দুই ধারায় বিভক্ত থাকলেও যেকোনো জাতীয় ইস্যুতে সবাই এক জোট হয়ে কাজ করতেন। সারা বাংলাদেশে তখন স্বৈরাচারী সামরিক জান্তা জিয়ার অত্যাচার-নির্যাতনে আওয়ামীলীগের কর্মীরা দিশেহারা। এর মধ্যেও ছাত্রলীগ জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ৭৫’র পর ১ম ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় চট্টগ্রাম পলিটেকনিকেল কলেজে। সেখানে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন যৌথভাবে প্যানেল দেয় ৭৯’ সালে বশর-প্রণব পরিষদ নামে। সেই নির্বাচনে আমাদের ৩টি শক্তির মোকাবিলা করতে হয়েছিল; ছাত্র শিবির, ছাত্রদল ও জাসদ ছাত্রলীগ। নির্বাচনে আমরা জি.এস ছাড়া পূর্ণ প্যানেলে জয় লাভ করেছিলাম। এরপর পর ৮০’ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। চট্টগ্রাম কলেজে ছিল ছাত্রলীগের জাফর-আদর পরিষদ, সিটি কলেজে ছিল আক্তার-শামসু পরিষদ ও মহসিন কলেজে ছিল বাবর-ইউসুফ পরিষদ। আমি সেই পরিষদ থেকে বার্ষিকী সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম। ৩টি কলেজে আমরা পূর্ণ প্যানেলে জয় লাভ করি। তবারক সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ৮০ সালের আকতার- শামসু পরিষদের এজিএস পদে নির্বাচিত হয়, সে প্যানেল থেকে বর্তমান এড. সাইমুল বক্তৃতা ও বিতর্ক সম্পাদক ও দিলীপ মিত্র বার্ষিকী সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। তবারক হত্যার মূল ঘটনা হল চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদ অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানোকে কেন্দ্র করে। ছাত্রশিবির ঘোষণা দিল তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙাতে দিবে না কিন্তু ছাত্রলীগ তা ছাড়বে না। ঘোষণা দিল তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙ্গাবেই। সেই লক্ষ্যেই চট্টগ্রামের সব কলেজের নির্বাচিত ছাত্র সংসদের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম কলেজে সমাবেশ ডাকে, ছাত্রলীগের সব ধারা একত্রিত হয়ে ২-৩ দিন আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে। সুলতান ভাই, দানু ভাই, ইসলাম ভাই, খালেক ভাই, সফর আলি ভাই, বশির ভাই, সামশুজ্জামান ভাই, সুজন ভাই, জমির ভাই, ইসহাক ভাই ও আ জ ম নাছির ভাইরা সবার সাথে সমন্বয় ঘটিয়ে কর্মসূচি নির্ধারণ করে দেন। প্রয়াত নেতা বাবু ভাই, মান্নান ভাই, মহিউদ্দিন ভাই, হারুন ভাই, ইউসুফ ভাই ও সিরাজুল হক মিঞা প্রত্যেকে ছাত্রলীগের নেতাদের নির্দেশ দেন যেকোনো কিছুর বিনিময়ে সংসদ অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগাতে হবে। ১৯৮০ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম কলেজের লিচুতলায় সকাল ১০টায় জমায়েতের কর্মসূচির ঘোষণা করে। তখন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বর্তমান কানাডা প্রবাসী সাবুদ্দীন। সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন প্রয়াত নেতা বশির উদ্দিন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাদারবাড়ির আবদুল কায়ুম। মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন প্রয়াত ছাত্র নেতা গোলাম মোস্তফা বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। ঐদিন সকাল থেকেই শিবির চক্র কঙবাজার, ফেনী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের চট্টগ্রাম কলেজে জড়ো করে, মূলত আমরা তিনদিক থেকে চট্টগ্রাম কলেজে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নিই।
একটা অংশ সিটি কলেজের নেতৃত্বে জামাল খান, আন্দরকিল্লা ও সিরাজদৌল্লা রোড চন্দনপুরা হয়ে চট্টগ্রাম কলেজের পিছনের গেইট দিয়ে ঢুকবে, এই অংশটিকে সহযোগিতা করবে মুক্তিযোদ্ধা এস এম তৌফিক ও বোয়ালখালীর লাতু বড়ুয়া।
আমাদের অংশটি মহসিন কলেজের ক্যাম্পাস হয়ে কলেজের মেইন গেইট দিয়ে প্রবেশ করবে, সহযোগিতায় থাকবে মুক্তিযোদ্ধা ফকির জামালের লোকজন। অপর অংশটি প্রয়াত নেতা দানু ভাইয়ের সহযোগিতায় হোস্টেল গেইট দিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ঢুকবে। আমরা সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস সামনে জমায়েত হয়ে বিজিএমসি রেস্টহাউজের পাশ দিয়ে নিচে নেমে মহসিন কলেজের পাহাড় এবং দেব পাহাড়ের নিচে ঢালু রাস্তা দিয়ে মহসিন কলেজ অতিক্রম করে মিছিল সহকারে চট্টগ্রাম কলেজে ঢুকে পড়ি। আমাদের দলে ছিল তখনকার সময়ের ছাত্রলীগ নেতা সাইফুদ্দিন রবি, মোহরার, সঞ্জীব বরণ নাথ, মাদারবাড়ির শাহজাহান গনি, অধ্যক্ষ শায়েস্তা খানের ছোট ভাই আজগর খান, চকবাজারের বাদল, বাকলিয়ার ইলিয়াস ও জামাল খানের শামসু, দেওয়ান বাজারের হুমায়ুন ও এনাম সহ ১শ ২০-৩০জন। উল্লেখ্য তবারকের বাসা ছিল বাকলিয়ায়, সে বাসা থেকে বের হয়ে সিটি কলেজ না গিয়ে মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসে আমাদের সাথে মিছিলে অংশ গ্রহণ করে।
সিটি কলেজের দল ভিপি আকতার ও জিএস শামসুর নেতৃত্বে মিছিল সহকারে চট্টগ্রাম কলেজে ঢুকে। আগে থেকেই চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কলেজ ছাত্র সংসদ অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। আমরা দু’দিক থেকে মিছিল করে ছাত্র সংসদ অফিসের দিকে যাওয়ার সময় হোস্টেলের পিছনের দিক থেকে শিবিরের সন্ত্রাসীরা ইট পাটকেল মারা শুরু করে। তারা কিরিচ, লোহার রড, হকি স্টিক দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে, আধঘণ্টার মতো সংঘর্ষ চলাকালে আমরা ছাত্র সংসদ অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়ে অফিস আমাদের দখলে রাখি। পরবর্তীতে পুলিশ এসে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে আমরা দেবপাহাড়ের ভিতর আশ্রয় নিই। এর মধ্যে খবর পেলাম পুলিশ চট্টগ্রাম কলেজ থেকে একজন ছাত্রের জবাই করা মৃতদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে, ইতোমধ্যেই আমাদের দলের সাইফুদ্দিন ও সঞ্জীবকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
আমি এবং বর্তমান প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ভাই দেবপাহাড় পার হয়ে মেডিকেলে এসে দেখি জরুরি বিভাগের সামনে এস্ট্রেচারে কাপড় দিয়ে ঢাকা একটি মৃতদেহ, পায়ে কেডস পরা। আমি মনে করেছিলাম এই মৃতদেহ সাইফুদ্দিন না হয় সঞ্জীবের। কারণ তারা দু’জনেরই পায়ে একি ধরনের কেডস ছিল, পরে লাশের মুখের কাপড় সরিয়ে দেখি তবারক। সাথে সাথে সারা চট্টগ্রামের মধ্যেই তবারক হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা মেডিকেলে এসে তবারকের লাশ কাঁধে নিয়ে মিছিল বের করলে পুলিশ লাশ ছিনিয়ে নেয়। ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা মিছিল সহকারে জামাল খান প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে, ঐ সমাবেশ থেকেই তবারক হত্যার প্রতিবাদে পরের দিন চট্টগ্রামে অর্ধদিবস হরতাল ঘোষণা করে। ইতোমধ্যে পুলিশ তবারকের লাশ পোস্টমর্টেম করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে সন্ধ্যায় বাকলিয়া ও সিটি কলেজে দু’দফা জানাজা শেষে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে গরিবুল্লাশাহ মাজার সংলগ্ন কবর স্থানে তাকে দাফন করে। তার পরের দিন হরতাল চলাকালীন নিউ মার্কেটের মোড়ে প্রতিবাদ সভায় পুলিশ টিয়ারসেল ছোঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। পুলিশের হামলায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা এম এন ইসলাম, খালিকুজ্জামান, সফর আলী, বশির উদ্দিন মাহমুদ, রাশেদ মনোয়ার, আমি ও মিরেশ্বরাই এর মোস্তফাসহ ২০-৩০ জন আহত হই। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি তবারক হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয়। লালদিঘির ময়দানে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক চুন্নু ভাই জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। মূলত শহীদ তবারকের রক্তস্নাত পথ বেয়ে চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তবারক হত্যার প্রতিশোধ স্পৃহাই অমিত তেজ আর সাহস নিয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করে ছিল, যার ফলে তার পরের বছর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ সারা বাংলাদেশে জয়লাভ করেছিল।
তবারক হত্যার ৪০বছর পার হয়েছে, মামলায় আসামীরা সবাই খালাস পেয়েছে। আজকের প্রজন্মের ছাত্রলীগের যারা নেতাকর্মী তাদেরকে বলব সে দুঃসহ কঠিন দিনগুলোতে তোমাদের পূর্বসূরিরা যে ত্যাগ তিতিক্ষা নির্যাতন, নিপীড়ন ও জেল জুলুম সহ্য করে এবং বুকের রক্ত দিয়ে মুজিবাদর্শের সংগঠন ছাত্রলীগের পতাকাকে এই জনপদের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে উড্ডীন করেছিল সেই পতাকাকে বয়ে নেবার জন্য রাজনৈতিক এবং আদর্শিকভাবে শক্তি অর্জন করতে হবে।
লেখক : সাবেক ভিপি, সরকারী হাজী মহসিন কলেজ ছাত্রসংসদ (৮১-৮২)

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমাদের সন্তান- আমাদের প্রত্যাশা
পরবর্তী নিবন্ধবয়োবৃদ্ধ পিতা-মাতা এবং বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থা