বান্দরবানে ভ্রমণকারীদের গাড়িতে পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলির ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল রোববারও ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তবে আহত ভ্রমণকারীরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চন্দ্রঘোনা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, জনমনে আতঙ্ক তৈরির জন্য ব্রাশফায়ার করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। তাদের ধরতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে। এদিকে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ব্রাশফায়ারের ঘটনাটি পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নয়। পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন ভেবে গাড়িতে ব্রাশফায়ার করা হয়েছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজা সরোয়ার জানান, ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হামলাটি পাহাড়ের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক বিরোধের কোনো বিষয়। কারণ ভ্রমণকারীরা সবাই রাঙামাটি জেলার বাসিন্দা। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য শনিবার সন্ধ্যায় বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের গলাচিপা নামক স্থানে ১৯ ভ্রমণকারীর একটি জিপ গাড়িকে টার্গেট করে ব্রাশফায়ার করেছে অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এলোপাতাড়ি গুলিতে চাকা ফুটো হয়ে গাড়িটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে কয়েকজন নারী ভ্রমণকারী মাথায়, হাতে ব্যাথা পেয়ে আহত হন।












