আমার কাছে চট্টগ্রাম মানেই দৈনিক আজাদী, আর দৈনিক আজাদী মানেই পুরো চট্টগ্রাম শহর, আমার ভালোবাসার শহর। সেই তখন থেকে, যখন আমি টুকটাক পড়তে শিখলাম, গুরুজনের পত্রিকা পড়ার ফাঁকে আমার জ্ঞানের বিস্তার ঘটাতে সচেষ্ট হয়েছি তখন থেকেই চিনি আজাদীকে। যখন আরো একটু বড় হয়ে টুকটাক লিখতে শুরু করি, নানুর উৎসাহে দৈনিক আজাদীর ছোটদের পাতা ‘আগামীদের আসর এর এককোণে দেওয়া সদস্য ফরম কেটে পূরণ করে পাঠিয়ে ভীত মনে অপেক্ষায় রইলাম আমি, কখন আমাকে আজাদী পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করবে সেই আশায় বুক বেঁধে। সময় গড়ায়, আমার অপেক্ষার শেষ হয় না আর! একদিন সকালে আবিষ্কার করলাম সদস্য তালিকায় আমার নাম এসেছে, আমার সদস্য নং (৭১৭৯)। আমার আনন্দ দেখে কে! হৈ হুল্লোড়ে মাতিয়ে প্রথমে একটা বারো লাইনের বৃষ্টির ছড়া পাঠালাম আগামীদের আসরে ভাইয়া বরাবর। ছড়া ছাপা হলো, খুশিতে ডগবগ হয়ে একের পর এক লেখা পাঠিয়েছি বিভিন্ন বিষয়ে, কখনো ছড়া- কবিতা, কখনো গল্প- প্রবন্ধ। দৈনিক আজাদী আমার প্রথম সাহস, আমার অনুপ্রেরণা, অতুলনীয় তাই ভোরের আজাদী আমার কাছে। প্রতিদিন ভোরে আজাদী হেডলাইনগুলো চোখ বুলিয়েই সকাল শুরু হয় আমার সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততায়, আমার রাতের অবসর হয় আজাদীর ভেতরের খবর পড়া শেষ করে। ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা দেখার সেই আনন্দ আজো একটুও ম্লান হয়নি, এখনো এই বেলায় বড়দের পাতায় নিজের প্রকাশিত কবিতা দেখে মন ছোটবেলার সেই আনন্দের মতই নেচে ওঠে! সময় গড়ায় তার আপন নিয়মে, সে পরিক্রমায় দৈনিক আজাদী পদার্পণ করলো ৬২ বছরে, মাশা আল্লাহ। এভাবেই প্রিয় আজাদী হোক আরো আধুনিক। অফুরান শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় আজাদী।