দৈনিক আজাদী হাঁটি হাঁটি পা পা করতে করতে আজ একষট্টি বসন্ত অতিক্রম করে বাষট্টিতে। দৈনিক আজাদী নামমাত্র আঞ্চলিক পত্রিকা হলেও এর চাহিদা সমগ্র দেশব্যাপী। পুরো চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে কী হচ্ছে না হচ্ছে তা স্পষ্টত উঠে আসে দৈনিক আজাদীর পাতায় পাতায়। বীর চট্টলার বীরত্বের সংবাদ হোক কিংবা কোন অসংগতির খবর তা চলে আসে সহজে আজাদীতে। চট্টগ্রামের কাগজের পত্রিকা পড়ে এমন পাঠককে প্রিয় পত্রিকার নাম বলতে বললে সহজেই বলে উঠবে আজাদীর নাম। আজাদীর জ্ঞানগর্ভ সাহিত্যকর্ম, সমাজের ঘটে যাওয়া প্রতিটা ঘটনা, রাষ্ট্রের খবর ও বৈশ্বিক খবর দিয়েই ভরপুর হয় আজাদীর প্রতিটি সংখ্যা। যা পড়ে সহজেই জানা যায় ঘটনার সারতত্ত্ব। আজাদী চট্টগ্রামে সাহিত্যিক সৃষ্টিতেও মহাগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বহুকাল ধরে। দুঃখের সাথে বলতে হয় চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকাগুলো শিশুসাহিত্যের পাতা ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে শুধু একটি পত্রিকা এখনো অব্যাহত রেখেছে তা হলো আমাদের সকলের হৃদয়ের দৈনিক আজাদী। দৈনিক আজাদী শুধু চট্টগ্রামের মুখপাত্র নয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যসহ সারাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে বহুকাল ধরে। যা আমাদের চট্টলবাসীর জন্য গৌরবের। চট্টগ্রামের স্বার্থের জন্য যুগ থেকে যুগান্তর দৈনিক আজাদী ছিল আপসহীন। যে আশা ও স্বপ্ন বুকে নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেক আজাদী প্রকাশ করেছিল ঠিক তার দেখানো পথে হেঁটে যাচ্ছেন বর্তমান সম্পাদক এম.এ মালেকের সু-নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কর্মদক্ষতায়।