গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদের (সাবেক কমিশনার) বলেছেন, দেশের প্রতিটি জেলায় গাউসিয়া কমিটির পতাকা উড়াতে হবে। মানুষের ঈমান ও আক্বিদাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে সুন্নিয়তের সুমহান পতাকাতলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চলমান মহামারীতে মৃত মানুষের লাশ দাফন-কাফনে মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে দেশের আনাচে-কানাচে আজ গাউসিয়া কমিটি সুপরিচিতি লাভ করেছে। তিনি সংগঠনের পতাকাতলে সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান। গত ১৫ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় সাংগঠনিক সফরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সফরকালীন মতবিনিময় সভাসমূহে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহাজাদ ইবনে দিদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার ও আলহাজ্ব এম এইচ খান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন সিদ্দিকী, আলহাজ্ব মোহাম্মদ শওগত আলী চৌধুরী, আল্লামা আবদুল কাইয়ুম কাদেরী, আল্লামা ইসমাইল, আনিসুর রহমান, সবুজ প্রমুখ। সফরে নেতৃবৃন্দ প্রথমে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় অবস্থিত আন্জুমান ট্রাস্ট পরিচালিত মাদরাসা পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা মাদরাসার উন্নয়নে স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেল ৩টায় লক্ষ্মীপুর দালাল বাজারে খানকাহ শরীফে লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। রাত ৮ টায় নোয়াখালীর সোনাপুরে কমিটি গঠনকল্পে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ব্যক্তিবর্গের সাথে সাংগঠনিক মতবিনিময় করেন। সভায় মহাসচিব শাহাজাদ ইবনে দিদার বলেন, নোয়াখালীর মাটিতে গাউসিয়া কমিটির চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন সম্মিলিত ভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে সংগঠনের ভিত্তিকে আরো মজবুত করে তুলতে হবে। যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জেলায় সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করতে পীরভাইদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। যুগ্ম মহাসচিব এম এইচ খান বলেন, দ্বীন ইসলামের খেদমতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।