শৈলীর মঙ্গলসন্ধ্যায় কবিতা ও কথামালায় দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন বহুমাত্রিক শিল্পী ফারজানা করিম। গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে ভক্ত-অনুরক্তদের নানামুখী প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। তিনি বলেন, শ্রম নিষ্ঠা আর একাগ্রতার ফলে বর্তমান অবস্থানে তিনি আসতে সক্ষম হয়েছেন। ফারজানা করিম একাধারে সংবাদ পাঠক, লেখক, আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী। লেখালেখি আর আবৃত্তি মিশে আছে তাঁর রক্তের সঙ্গে। ‘পাখিপৃথিবী’ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। সাহিত্যিক সাংবাদিক রাশেদ রউফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফারজানা করিম বলেন, মানুষের মানবিক গুণ আমাকে বেশি আকৃষ্ট করে। একজন মানুষ কতোটা অসাম্প্রদায়িক, তা বোঝা যায় তার কর্মে। নিজের বেড়ে ওঠা নিয়ে ফারজানা করিম বলেন, আমার জন্ম চট্টগ্রামে। শৈশব-কৈশোর অতিক্রম করেছি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমিতে। এখানে প্রতিটি ধর্মের মানুষের সঙ্গে আমার মেশার সুযোগ হয়েছে। কখনো কোনো ভেদাভেদ আমাদের চোখে পড়ে নি। তিনি তাঁর সংস্কৃতি জগতে পদার্পণ, মঞ্চে যুক্ত হওয়া, সংবাদ পাঠে অংশ নেওয়া ও লেখালেখির বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন। ফারজানা করিম বেশ কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।
পরে অনুষ্ঠানে ‘শিল্পশৈলী’র সেপ্টেম্বর সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় আলোচনায় অংশ নেন গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, শিল্পী মৃণালিনী চক্রবর্তী, কবি জিন্নাহ চৌধুরী, বিচিত্রা সেন, কাঞ্চনা চক্রবর্তী, কবি আবু মুসা চৌধুরী, আজিজ রাহমান, রেহেনা মাহমুদ, এম কামাল উদ্দিন, অমিত বড়ুয়া, এস এম আব্দুল আজিজ, ইসমাইল জসীম, গোফরান উদ্দীন টিটু, সৈয়দা সেলিমা আকতার, শিপ্রা দাশ, জেবারুত সাফিনা, তারিফা হায়দার, শিউলি নাথ, হৈমন্তী তালুকদার, বিভা ইন্দু, শাহানা আলম, জামাল উদ্দিন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।