চট্টগ্রামে সাংবাদিকতা পেশার অগ্রযাত্রী

মুহাম্মদ শামসুল হক | বৃহস্পতিবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

(পূর্ব প্রকাশিেতের পর)
কাজী জাফরুল ইসলাম : চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার উত্তর হাইদকান্দি গ্রামে ১৯৩৯ সালের ৩০ নভেম্বর জন্মগ্রহণকারী কাজী জাফরুল ইসলাম শিক্ষা জীবন শেষে ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ওয়াপদার একজন অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু ভাল না লাগায় অল্প কিছু দিনের মধ্যে চাকরি ছেড়ে ৬৩ সালের ৩ জানুয়ারি সহ-সম্পাদক পদে যোগ দেন দৈনিক আজাদীতে। পরের বছরই তিনি সিনিয়র সহ-সম্পাদক হন। এরই মধ্যে তিনি ১৯৭১ এর মার্চ পর্যন্ত দৈনিক সংবাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেন। ৭২ এর এপ্রিলে তিনি সংবাদ এর ঢাকা অফিসে বার্তা বিভাগে শিফট ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন এবং ৭৫ এর জুন পর্যন্ত একই পদে থেকে মফস্বল বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ এর মে মাসে তিনি পুনরায় আজাদীতে যোগ দেন। কাজী জাফরুল ইসলাম ১৯৬৬ সাল থেকে ৬৯ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, ৭৮-৮০ ও ৯৩ সালে সভাপতি এবং ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ‘সাংবাদিকতা একটি বিজ্ঞান’সহ ৭টি গ্রন্থের প্রণেতা। তাঁর তত্ত্বমূলক বই ‘সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা’ কলকাতার ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম এ পাঠ্যসূচিভুক্ত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন তাঁকে প্রবীণ সাংবাদিক হিসেবে এবং ২০০০ সালে প্রেসক্লাব কৃতী সাংবাদিক হিসেবে সংবর্ধিত করে।
নূরুল ইসলাম : মিরসরাইর অধিবাসী নূরুল ইসলাম। কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৬৫ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। পাকিস্তান সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো এবং সাংবাদিক হবার নেশা থেকে তিনি ৬৩ সালে যোগ দেন তৎকালীন দৈনিক ইনসাফ এ সহ-সম্পাদক হিসেবে। ৬৯ সালে দৈনিক পূর্বদেশ এর সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়ে একই বছর আসেন প্রতিনিধি হয়ে চট্টগ্রামে। ৭৬ সালে রাজশাহীর দৈনিক বার্তা, ৮৬ সালে দৈনিক জনতা, এরপর সংবাদ, মুক্তকন্ঠ ও বিএনতে সাংবাদিকতা করেন। নুরুল ইসলাম দুইবার (১৯৭৩-৭৫) চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।
আখতার উন নবী : সীতাকুন্ড থানার অধিবাসী আখতার উন নবী বাবার ইচ্ছেতেই ভর্তি হন ফেনী আলিয়া মাদ্রাসায়। সেখান থেকে ফাজিল পাস করেই ভর্তি হন ফেনী কলেজে। পাশাপাশি চলতো অনুবাদ সাহিত্য রচনার কাজ। ৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের ছাত্র থাকাকালেই তখনকার জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সিনে পত্রিকা পূর্বাণীতে (ইত্তেফাক গ্রুপের) যোগ দেয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় আনুষ্ঠানিক যাত্রা। সেখান থেকে সিনে পত্রিকা ‘চিত্রাকাশ’ এবং স্বাধীনতার পর বাংলার বাণী গ্রুপের সাপ্তাহিক সিনেমায় চিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮১ সালে বাংলার বাণীর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হিসেবে যোগ দেন চট্টগ্রাম অফিসে। জাতীয় পর্যায়ে অনুবাদ সাহিত্যিক হিসেবে আখতার উন নবী সমধিক পরিচিত। তাঁর ২৯টি গ্রন্থ বেরিয়েছে। তিনি চারবার চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং ২০০১-২০০২ সালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আখতার উন নবী ২০০৪ সালের ১৮মে মারা যান।
আবদুল্লাহ আল ছগীর : স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের সংবাদপত্র শিল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা দৈনিক নয়াবাংলা সম্পাদক আবদুল্লাহ-আল-ছগীর। সাংবাদিকতাকে পেশাদারী মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ক’জন পত্রিকা মালিক বিশেষ অবদান রেখে গেছেন তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল ছগীর অন্যতম। তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। আবদুল্লাহ আল-ছগীরের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার গড়দুয়ারা গ্রামে ১৯৩০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তিনি ১৯৯১ সালের ২৯ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
সৈয়দ মোস্তফা জামাল : সাতকানিয়া থানার সোনাকানিয়া গ্রামে ১৯৩৪ সালের ৮জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে সংবাদের সাতকানিয়া সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি। বিভিন্ন সময় দৈনিক আজাদী, পয়গাম, ইত্তেহাদ, নাজাত, ইত্তেফাক, দৈনিক পূর্বতারা পত্রিকার ঢাকা ও চট্টগ্রাম অফিসে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি, বিএফইউজে’র যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন তাঁকে কৃতী সাংবাদিক সংবর্ধনা দেয়। সৈয়দ মোস্তফা জামাল ২০০৪ সালের ২২ এপ্রিল মারা যান।
মোসলেম খান : ১৯৪৭ সালের ২২ জুন পটিয়া থানার আশিয়া গ্রামে জন্ম। সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি দৈনিক পূর্ব পাকিস্তান পত্রিকায়। ষাটের দশক থেকে দৈনিক আজাদ, সাপ্তাহিক সমাজ, দৈনিক জেহাদ, ইস্টার্ণ এঙামিনার, ইসলামাবাদ, জং, পয়ামে মোশরেক, মিল্লাত ও আজান পত্রিকায় বিভিন্ন পদে কাজ করেন। ৭২ সালে দৈনিক দেশের কথা বের করে এর সম্পাদক হন। তিনি সাপ্তাহিক রায়হানেরও প্রকাশক।
বিমলেন্দু বড়ুয়া : ১৯৬৪ সালে দৈনিক আজাদীতে সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। পরে সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন একই পত্রিকায়। তিনি কৃতী সাংবাদিক হিসেবে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ : আটটি। জন্ম : ১৯৩৩ সালের ১৫ এপ্রিল বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখিল গ্রামে। ২০০৭ সালের ১৩ জানুয়ারি মারা যান।
অরুণ দাশগুপ্ত : কর্মজীবনের শুরুতে ছিলেন শিক্ষকতা পেশায়। কবি এবং দা’মনি হিসেবে সমধিক পরিচিত। অরুণ দাশগুপ্ত ৭২ সালের মার্চে শিফট ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন দৈনিক স্বাধীনতায়। ৭৩ এ সহ-সম্পাদক হয়ে যোগ দেন আজাদীতে। পরবর্তী সময়ে একই পত্রিকায় সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে কাজ করে মৃত্যুর কিছুদিন আগে অবসর নেন। আজাদীর সাহিত্য পাতাকে পাঠক সমাদ্বৃত করার জন্য তিনি যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ দুটি। তিনি ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২১ সালের ১০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
মোহাম্মদ ইউসুফ : ১৯৬১ সালে দৈনিক আজাদীতে সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় যাত্রা শুরু। পাঞ্চজন্য, জামানা ও ইনসাফে কাজ করেন। ’৬৫-’৭২ পর্যন্ত আজাদ এর ঢাকা অফিসে (মুক্তিযুদ্ধের সময় বাদে) কাজ করেন। ’৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলার বাণী ও জনপদে এবং ’৭৭ থেকে সংবাদ ও দৈনিক দেশ এ কাজ করেন যথাক্রমে প্রতিনিধ ও সহ-সম্পাদক হিসেবে। ৮০ সালে পুনরায় যোগ দেন আজাদীতে এবং সিনিয়র সহসম্পাদক হিসেবে অবসরে যান। জনাব ইউসুফ ’৯৫-’৯৬ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসক্লাব তাঁকে কৃতী সাংবাদিক হিসেবে সংবর্ধিত করে। তাঁর জন্ম ১৯৪০ সালের ৩১ জুলাই। ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর মারা যান।
ফজলুর রহমান : ৫০ ও ৬০ এর দশকে অবজারভার ও ডন পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন। আজাদীর প্রতিষ্ঠাকালেও তাঁর অবদান ছিল উল্লেখ করার মতো। তিনি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক এবং পরবর্তী তিন মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (১৯৬২-৬৩, ৬৩-৬৪ ও ৬৫-৬৬)। প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠায়ও তাঁর ভূমিকা ছিল।
তসলিম উদ্দিন চৌধুরী: দৈনিক পূর্বকোণের প্রথম সম্পাদক ছিলেন খ্যাতনামা সাংবাদিক কে জি মোস্তফা। তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন ইউসুফ চৌধুরীর সন্তান স্থপতি তসলিম উদ্দিন চৌধুরী। ২০০৬ সালে ইউসুফ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ২০০৭ সালে গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। প্রতিযোগিতার বাজারে পত্রিকাটিকে মানসম্পন্নভাবে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তাঁর নিষ্ঠা ও একাগ্রতা স্মরণযোগ্য। তাঁর জন্ম ১৯৫৪ সালের ১ জানুয়ারি। মারা যান ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর।
আতাউল হাকিম : ১৯৭৩ সালে ছাত্রাবস্থায় দৈনিক আজাদীতে সহ-সম্পাদক পদে যোগ দানের মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় যাত্রা শুরু আতাউল হাকিমের। তিনি আজাদীর আগামীদের আসরের পরিচালক ছিলেন। তিনি ঢাকার দি ডেইলি নিউইজের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি এবং ‘ক্রীড়া সন্দেশ’ এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি ৮৬ সালে দৈনিক পুর্বকোণে যোগ দেন এবং যুগ্মবার্তা সম্পাদক হিসেবে অবসরে যান। তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। তাঁর পাঁচটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। আতাউল হাকিম ১৯৫০ সালের ৭ মার্চ রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন। মারা যান ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই।
মোহাম্মদ বেলাল : ১৯৭২ সালে বাংলার বাণীতে যোগ দিয়ে মোহাম্মদ বেলালের সাংবাদিকতা শুরু। পরে তিনি ডেইলি লাইফ, দৈনিক সংবাদ ও সংবাদ সংস্থা রয়টার এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি এবং দৈনিক পূর্বকোণের চীফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দক্ষতার সঙ্গে। সাংবাদিকতা পেশার মান উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন তিনি। তাঁর জন্ম ১৯৫২ সালে বোয়ালখালী উপজেলায়। তিনি ১৯৯৫ সালে মারা যান।
নূর মোহাম্মদ রফিক : ১৯৬৩ সালে শরীফ রাজার কাছে অনুপ্রাণিত হয়ে আজাদী সম্পাদনা সহকারী হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু রাতের ডিউটি দেয়ায় অল্প কিছু দিনের মধ্যে চাকরি ছেড়ে নামেন রাজনীতিতে। ’৬৯ সাল থেকে পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে দৈনিক আজান, সাপ্তাহিক খবর, দৈনিক জমানার বিভিন্ন প্রতিনিধি। ’৭৭ সাল থেকে স্বাধীনতায় ’৮০ সাল থেকে নয়াবাংলায়, ’৯২ থেকে দৈনিক ঈশানে সহ-সম্পাদক ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৭ নভেম্বর ১৯৪৪, মৃত্যু ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি।
স্বপন কুমার মহাজন : ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে যাত্রা শুরু ১৯৬৯ সালে। স্বাধীনতার পর যোগ দেন দৈনিক মিছিলে। ১৯৭৮ সালে যোগ দেন নয়াবাংলায়। পরে দৈনিক আজাদ, দৈনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা, পিটিআই, অণুবীক্ষণ, পাক্ষিক নব রিপোর্ট ইত্যাদিতে কাজ করেন। স্বপন কুমার মহাজন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন তাঁকে কৃতি সাংবাদিক হিসেবে সংবর্ধনা দেয়। তিনি ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ মারা যান।
সিদ্দিক আহমদ: ১৯৭০ সালে কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র সাপ্তাহিক একতায় যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকতার শুরু। পাশাপাশি চলে শিক্ষকতা ও লেখালেখি। ১৯৭৯ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে মন দেন চাষাবাদ ও ব্যবসায়। কিন্তু হলো না। ১৯৯১ সালে এসে যোগ দেন আজাদীতে। নিয়মিত কলাম লিখতেন। প্রায় দুই যুগ আজাদীতে থেকে সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করে অবসর নেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে। ২০১৪ সালে তাঁকে কৃতী সাংবাদিক সংবর্ধনা দেয় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন। তাঁর জন্ম ১৯৪৬ সালের ৩১ জুলাই রাউজানের গশ্চি গ্রামে। মারা যান ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল।
মুহাম্মদ ইদ্রিস : পূর্বকোণ পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকে এর সঙ্গে যুক্ত হন এবং সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে সুপ্রভাত বাংলাদেশে সহকারী সম্পাদক ছিলেন। নিয়মিত কলাম লেখক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন ২০০১-২০০২ সালে।
এছাড়াও আছেন ইমামুল ইসলাম লতিফি, আ জ ম ওমর, তমাল চৌধুরী, খুরশীদ আলম বশীরের মতো অনেক কৃতী সন্তান, যারা চট্টগ্রাম ও জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত থেকে অতীতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। অসাবধানতা কিংবা সময়-সুযোগের অভাবে আপাতত তথ্য সংগ্রহ করতে না পারায় এ তালিকা অসম্পূর্ণ হতে পারে। এছাড়া, এ লেখায়ও তথ্যগত কিছুটা ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে। বয়স বা পেশার দিক দিয়ে জ্যেষ্ঠতার বিষয়টিও যথাযথ অনুসরণ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী পর্যায়ে যথাসম্ভব পূর্ণাঙ্গ পরিচিতি তুলে ধরার ইচ্ছা রইল।
লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, ইতিহাসবিষয়ক গবেষণাকর্মী, সম্পাদক-ইতিহাসের খসড়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরিবারের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক আজাদী
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা