চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সুসময়ের কোকিলরা দুঃসময়ে থাকবে না। এরা যেন তৃণমূল স্তরে আসতে না পারে তাদেরকে বাধা দিতে হবে এবং স্থানীয় নেতৃত্বকে সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে বলা হয়, ইতোপূর্বে সদস্য নবায়নের বই নিয়েছেন সে সমস্ত বই মুন্ডাসহ আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। অপর এক সিদ্ধান্তে বলা হয়, নতুন সদস্যপদ প্রদানে অধিকতর সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে, যাতে অবাঞ্চিত কেউ দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। সভায় গৃহীত পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তিন তিনবার ক্ষমতায়। সামনে দুঃসময়। এখন যারা সদস্যভুক্ত বা নবায়নকৃত হয়ে দলে ঢুকতে চান তাদের ব্যাপারে স্থানীয় নেতৃত্বকে সচেতন থাকতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন দলীয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, বদিউল আলম, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, হাজী মো. হোসেন, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী জহুর আহমদ, জালাল উদ্দিন ইকবাল, মাহবুবুল হক মিয়া, দিদারুল আলম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী প্রমুখ।