আইপিএলের বাকি অংশ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে সাকিব আল হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমান তা আগে থেকেই জানা ছিল। দুজনের রোববার রাতে এক সঙ্গে আমিরাত রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারনে মোস্তাফিজ যেতে পারেননি রোববার রাতে। তবে সাকিব আল হাসান দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রোববার রাত পৌনে দুইটায় ঢাকা ছাড়েন। আর গত রাতেই যাওয়ার কথা মোস্তাফিজের। ভারতের করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় এবং তা টুর্নামেন্টে প্রভাব ফেলায় গত ৪ মে স্থগিত হয় এবারের আইপিএল। অনেক টানাপোড়েনের পর অবশেষে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী রোববার থেকে। ভারত থেকে এই আসর সরে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
আইপিএলে সাকিব খেলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। স্থগিত হওয়ার আগে এবারর আসরে তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। তিনটি ম্যাচ খেলে করতে পারেন তিনি কেবল ৩৮ রান। পাশাপাশি বোলিংয়েও ব্যর্থ ছিলেন সাকিব। ওভার প্রতি আটের বেশি রান দিয়ে নিয়েছেন মাত্র ২টি উইকেট। আইপিএলের এবারের আসরে মোস্তাফিজুর রহমান খেলছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। স্থগিত হওয়ার আগে দলের সাত ম্যাচের সবকটি খেলে তার উইকেট ৮টি। রান দেন ওভারপ্রতি ৮.২৯। টুর্নামেন্টের বাকি অংশের নতুন সূচি অনুযায়ী সাকিবদের প্রথম ম্যাচ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। আবু ধাবিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে সাকিবের কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরদিনই মোস্তাফিজদের লড়াই দুবাইয়ে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। আইপিএল শেষে বিশ্বকাপের জন্য ওমানে সরাসরি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সাকিব এবং মোস্তাফিজ। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয় তাদেরকে পাওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য বেশ কম।
এদিকে আইপিএলের যে অংশটি ভারতে সম্পন্ন হয়েছে তাতে সাকিব এবং মোস্তাফিজ দুজনই হতাশাজনক পারফর্ম করলেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভাল ফর্মে রয়েছেন দুজন। জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া এবং সবশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দুজন বেশ ভাল করেছেন। তাই আইপিএলেও ভাল করবেন তেমন প্রত্যাশা সাকিব-মোস্তাফিজ ভক্তদের। আর সেখানে ভাল করতে পারলে বিশ্বকাপেও তার একটা প্রভাব পড়বে তেমনটি মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
