ইউনিফর্ম এবং ফি আদায়ের ক্ষেত্রে স্কুলগুলোকে কড়াকড়ি না করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনে গতকাল সকালে তিনি ঢাকার বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন। আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজ পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। তিনি বলেন, সংক্রমণ যদি আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে না রেখে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার বিকল্প হাতে রয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
এর আগে স্কুল খোলার ঘোষণা দেওয়ার সময় কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি শর্ত মানা হচ্ছে কিনা তা নজরদারিতে আনতে কর্তৃপক্ষ আকস্মিক পরিদর্শনে যাবে।
ইউনিফর্ম নিয়ে কড়াকড়ি নয় : শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শুধু করোনা নয়, তার সাথে ডেঙ্গুর মৌসুম চলছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার সময় এডিস মশা বেশি কামড়ায়। সে কারণে শিক্ষার্থীদের পুরো হাতা জামা, ফুল প্যান্ট-পাজামা পরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ কারণে স্কুল ইউনিফর্ম সম্ভব না হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বেশি কড়াকড়ি না করার আহ্বান জানান। গত দেড় বছরে অনেক শিক্ষার্থী ইউনিফর্মের তুলনায় বড় হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে স্কুল ইউনিফর্ম সব অভিভাবকের পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নাও হতে পারে।
ফি আদায়ে মানবিক হোন : শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফি আদায়ে মানবিক হতে হবে। তিনি বলেন, যেসব ফি নেওয়টা প্রয়োজন সেই ফি-ই এখন আদায় করা যাবে। তবে কোনো শিক্ষার্থী ফি দিতে অপারগ হলে মানবিক আচরণ করতে হবে। করোনার কারণে কোনো শিক্ষার্থীর পরিবারে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে গেলে, ফি পরিশোধের বিষয়ে তাদেরকে কিস্তিতে পরিশোধ করা যায় কিনা সেটি বিবেচনায় নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করেন তিনি।
সিলেবাস পরিবর্তন : যাদের একদিন ক্লাস হবে তাদের কিছুটা ক্ষতি হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখোমুখি ক্লাস একদিন হলেও তাদের অ্যাসাইনমেন্ট চলবে, অনলাইনে ক্লাস চলবে, টেলিভিশন ক্লাস চলবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে তাদের অবশ্যই পরীক্ষা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে সিলেবাস কমানো হবে, নাকি চলতি শিক্ষাবর্ষকে বাড়ানো হবে নাকি পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে অতিরিক্ত ক্লাস করিয়ে সেটি পুষিযে নেওয়া হবে। বাইরে অভিভাবকদের অপেক্ষা করতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের বিষয় বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।












