কোভিড পরবর্তী শারীরিক জটিলতা চিকিৎসায় বিশ্ব কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে

ইমপেরিয়াল হাসপাতালের সেমিনারে ডা. রবিউল হোসেন

| বৃহস্পতিবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১:০০ অপরাহ্ণ

‘লং কোভিডে পুনর্বাসন চিকিৎসা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে ৪শ’ শয্যার বহুমূখী বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ইমপেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেডে (আইএইচএল) বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৈজ্ঞানিক সেমিনার গতকাল বুধবার হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে আইএইচএল-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা রবিউল হোসেন বলেন, ইমপেরিয়াল হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় আস্থার প্রতীক হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে এবং নন-কোভিড থেকে আলাদা ও কোভিড চিকিৎসায় নিবেদিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য জনবল সমন্বয়ে ৮৫ শয্যার কোভিড ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে। কোভিড আক্রান্ত রোগীরা কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পরও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিলতায় ভুগছেন এবং কিছু কিছু কোভিড পরবর্তী জটিলতায় মৃত্যুও হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহেবিলিটেশান বিভাগও কোভিড আক্রান্ত রোগীদের জন্য যুগোপযোগী সর্বাধুনিক ও বিশ্বমানের ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব আগামীতে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের, কোভিড পরবর্তী শারীরিক জটিলতা চিকিৎসায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আবু তসলিম। তিনি প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, কোভিড অতিমারি, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর মিছিলের পাশাপাশি মত্যুঝুঁকি বাড়ানোসহ কোভিড পরবর্তী নানান শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করছে। হাসপাতালের একাডেমিক কোঅর্ডিনেটর ডা. এ কে এম আরিফ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সেমিনারে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশান বিভাগের ইনচার্জ ও সিনিয়র ফিজিওথেরাপিস্ট শারমিন আবিদা বিভাগের বর্তমান কার্যক্রম ও কোভিড আক্রান্ত রোগীদের পরবর্তী জটিলতা চিকিৎসায় ইমপেরিয়াল হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন। সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মজিবুল হক, কোভিড ইউনিটের চিকিৎসক ডা. ইফফাত শারমিন। সমাপ্তি ঘোষণা করেন হাসপাতালের সিএমও ও ল্যাব মেডিসিন বিভাগের ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. তারেক আল নাসির। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআঞ্জুমানে প্রদত্ত এ্যাম্বুলেন্স পরিদর্শনে সিএমপি কমিশনার
পরবর্তী নিবন্ধ‘২০২৫ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত হবে’