সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৫ নং সাক্ষী হাফেজ মোহাম্মদ আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সকাল সোয়া ১০টায় এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ও বিকাল সাড়ে ৫টায় শেষ হয়। এনিয়ে এ পর্যন্ত মামলার বাদীসহ ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার ১৫ আসামি ছাড়াও রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার কার্যক্রম শেষে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, সিনহা হত্যা মামলার ৫ নং সাক্ষী হাফেজ মোহাম্মদ আমিন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তার সাক্ষ্য দেওয়ার আইনগত কোনো অধিকার নেই।’ তাছাড়া ঘটনার সময় এই সাক্ষী মসজিদের ছাদ থেকে হত্যাকান্ডের সবকিছু দেখেছেন বলে আদালতকে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়। কারণ, সে যে মসজিদে চাকরি করে সেই মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নামও জানে না।
জবাবে বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রোহিঙ্গা বলে কি তার কোনো চোখ নেই? তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন বাংলাদেশি। তিনি যে মসজিদে চাকরি করেন, সেই মসজিদে কোন কমিটি নেই। তাই, মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম জানার প্রশ্নই ওঠে না।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কঙবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, মামলার ৫নং সাক্ষী আদালতকে যথার্থ বলেছেন। তিনি রোহিঙ্গা নাগরিক নন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। তিনি হত্যাকান্ডের দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছেন। তাকে রোহিঙ্গা বলার কোন যুক্তি নেই। এটি মামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার আসামি পক্ষের কৌশল।
এদিকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে কারাবিধি অনুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় প্রদীপের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্তের ডিভিশন চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে কঙবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত এ আদেশ দেন।












