তথ্য ও সমপ্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, সার্কিট হাউসে জাতির পিতার খুনির নামে জাদুঘর থাকতে পারে না। রাষ্ট্রের পয়সা দিয়ে, জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে কেন খুনি জিয়ার নামে জাদুঘর রাখব? এটা চট্টগ্রামে থাকবে না। আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলব। প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে থাকা জিয়ার নামে জাদুঘর সরানোর জন্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকসহ চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি গণমাধ্যম কর্মী আইন হবে বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন। গতকাল সোমবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কারো দয়ার দান নয়। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঈর্ষণীয় কর্মতৎপরতা দেখে জিয়াউর রহমান কিছু কুলাঙ্গারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছে, এটাই জিয়ার অবদান। এ হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর। এ বাংলাদেশ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার। প্রতিদিন প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বীর চট্টলার প্রতি প্রধানমন্ত্রী সবসময় সহানুভুতিশীল। চলমান বৈশ্বিক করোনাকালে সাংবাদিকদের জন্য ১০ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এই চট্টগ্রামের এম এ হান্নান। সেই ঘোষণার মাইক্রোফোন জিয়ার জাদুঘরে থাকবে না। তা কালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার যোগ্যতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১২ বছর ক্ষমতায়। আপনারা বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে সহযোগিতা করবেন। বাংলাদেশের ধ্বংসের ইতিহাস জিয়া পরিবারের সৃষ্টি। ডা. মুরাদ হাসান বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের দালাল জিয়া পরিবার। লন্ডনে বসে তারেক রহমান দেশ দখল করতে চায়। আমরা কি বসে থাকব? আমরা কি ঘাস খাই?
ধর্মের নামে রাজনীতি বাংলার মাটিতে আর করতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেই দিন এখন আর নেই। দেশে আর কোনো অপচেষ্টা করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, গাদ্দার মোশতাক-জিয়া জাতির পিতাকে খুন করেছেন। আমরা মূল খুনির মরণোত্তর বিচার করতে চাই। মতের পার্থক্য থাকলেও মৌলিক প্রশ্নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ডা. মুরাদ হাসান। কাজ করলে ‘ভুল ত্রুটি হতে পারে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা মানুষ। কাজ না করলে তো আর ভুল হবে না।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় দেশে জিডিপি ছিলো ৯.৪। এই করোনাকালেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি পৃথিবীতে অনুকরণীয়। কাজ করলে ভুল হবে। ক্ষমার যোগ্য হলে ক্ষমা করবেন আর অযোগ্য হলে বিচার করবেন। আপনারা বীর চট্টলার সন্তান। আপনারা আমাদের চেয়ে ইতিহাস বেশি জানেন। প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান ড. হাসান মাহমুদ এমপিকে এবং আমাকে। এ মন্ত্রণালয়ের তথা সাংবাদিকদের উন্নয়নে আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা।












