‘ইট পাথরের জঞ্জাল কোর্ট হিল’ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসনের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ও একটি সেবা সংস্থাকে দেয়া চিঠিকে ঘিরে আদালত পাড়ায় উত্তাপ কমেনি। গত ৫ দিন ধরে আইনজীবীরা সমানে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সমিতি জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি বা সেবা সংস্থাকে পাঠানো চিঠি বিশদভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে আলাপ-আলোচনার পাশাপাশি একাধিক বৈঠকও হয়েছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ সোমবারও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
সমিতির সভাপতি মো. এনামুল হক আজাদীকে বলেন, কোর্ট হিলে আমাদের বৈধতা রয়েছে। আমরা কারো জায়গায় স্থাপনা করিনি এবং করার চিন্তাও করছি না। সাধারণের চলাচলের রাস্তা ও পার্কিংয়ের জায়গা দখল চেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় জেলা প্রশাসন আমাদের পেছনে লেগেছে। আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সে যাই হোক, আমরা আমাদের প্রস্তাবিত দুটি ভবনের কাজ এগিয়ে নেব। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় যা যা করণীয় আমরা সবকিছু করব। তবে সমিতি এবং সমিতির সাবেক নেতাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেটি হবে। আমরা এককভাবে সমিতির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব না।
তবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আদালত পাড়ায় এতোগুলো অবৈধ স্থাপনা কেন সেটি আমারও প্রশ্ন। এসব স্থাপনা কাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং সেখান থেকে কারা ভাড়া তুলে সেটিও আমার প্রশ্ন। কোর্ট হিলে প্রবেশের দুটি পথে অসংখ্য হোটেল, দোকান রয়েছে। যুগ যুগ ধরে সেগুলো পরীর পাহাড়ে ঠিকে আছে কিভাবে! কখনো তো সেগুলো উচ্ছেদ করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে টেক্স দিচ্ছি। সেবা সংস্থাগুলোর সেবার জন্য অর্থ পরিশোধ করছি। লুকোচুরি করে তো কিছুই হচ্ছে না। বৈধভাবে কোর্ট হিলে আমরা ৫টা ভবনে অবস্থান করছি। অনেক আইনজীবীর বসার জায়গা নেই। তাদের তো চেম্বার প্রয়োজন। এ জন্য আইনজীবীদের জায়গায় আরও দুটি ভবন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটি হবে। কারো চক্রান্তে সেটি বন্ধ হবে না।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, পাহাড় নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনসহ একাধিক সংস্থা কাজ করে। পরীর পাহাড়ের বিষয়টিও এ সংস্থাগুলো দেখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এসবের বাইরে সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও কাজ করছে কোর্ট হিল খ্যাত পরীর পাহাড় নিয়ে।