পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুরোধে সাঁতার শেখানোর পাশাপাশি অভিভাবক সচেতনতা এবং পুকুরে বেষ্টনী তৈরি করতে হবে। কারণ সাঁতার শেখার বয়সের আগেই আধিকাংশ শিশু পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে। বিশ্বে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ দিবসে চট্টগ্রামে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় এসব কথা বলা হয়।
রোববার রাতে ‘আগামী সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ)-আমেরিকান কর্ণার আয়োজিত আলোচনায় মূল বক্তব্য তুলে ধরেন ইন্টারন্যাশনাল ড্রাউনিং রিসার্চ সেন্টার, বাংলাদেশের পরিচালক ডক্টর আমিনুর রহমান। তিনি পাওয়ার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শিশুদের পানিতে ডুবে যাওয়া ও প্রতিকারের নানাদিক তুলে ধরেন। সাংবাদিক আলমগীর সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন গ্লোবাল হেলথ এভভোকেসি ইনকুভেটরের কান্ট্রি কমিউনিক্যাশন ম্যানেজার সারওয়ার ই আলম, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমষ্টির পরিচালক সাংবাদিক মীর মাসরুর জামান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ, দৈনিক আজাদীর প্রধান প্রতিবেদক হাসান আকবর, অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির, অধ্যাপক সারোয়াৎ নাজনীন, ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, আইনজীবী নাজমুল হক সিকদার, মঈনুদ্দিন কাদের লাভলু, সাংবাদিক অনুপম শীল, সুমন দে, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম বাবু , উন্নয়ন কর্মি সানজিদা আক্তার।
আলোচনায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে বলা হয়, দ্রুত এটার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে এই মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকবে। তাই শিশুদের সাঁতার শেখানো নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে সকলকে কাজ করতে হবে। আলোচনায় সাঁতার শেখার বয়সের আগেই অধিকাংশ শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এটার জন্য অভিভাবকদের সচেতন করে তোলার বিভিন্ন পন্থা নিয়ে কাজ করতে বলা হয়। পাশাপাশি অরক্ষিত পুকুরে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।