আফ্রিকার উত্তরপূর্ব অঞ্চলের ইরিত্রিয়া থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডে। গায়ে সেঁটে ছিল ‘শরণার্থী’ তকমা। সেই লুনা সলোমন এখন টোকিও অলিম্পিকসের অংশ। অলিম্পিয়ান হতে পারার ঈর্ষণীয় গর্ব তার সঙ্গী। আসাকা শুটিং রেঞ্জে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাইয়ে গত শনিবার হন ৫০তম। বলার অপেক্ষা রাখে না, ছিটকে গেছেন বাছাই থেকে। কিন্তু শত বাধা পেরিয়ে যে জীবন গড়েছেন, তা থেকে তো আর ছিটকে যাননি লুনা। সব ভয়, শঙ্কা, পিছুটান কাটিয়ে মুখ তুলে তাকানোর সাহসটুকু অর্জন করেছেন ঠিকই। লুনার এই গল্পের আরেক নায়ক অলিম্পিকের চ্যাম্পিয়ন শুটার নিক্কোলো কামপিরিয়ানি। ২০১৫ সালে সুইজারল্যান্ডে আসা লুনার মাঝের লুকায়িত প্রতিভাকে খুঁজে বের করেন তিনি। তাকে শুটিংয়ে আনেন। অথচ এর কিছুদিন আগেও শুটিং বলে কোনো খেলা আছে, তা জানতেনই না লুনা! শুটিংয়ে আসার পর থেকে লুনার ভেতরটা বদলে যেতে থাকে। মনের যে কুঠুরিতে শঙ্কা-ভয় বাসা বেঁধেছিল, একটু একটু করে আত্মবিশ্বাস জন্ম নিতে থাকে সেখানে। অভিষ্ঠ লক্ষে পৌঁছুতে সপ্তাহে চার দিন অনুশীলন করতে করতে নিজেকে অন্যভাবে আবিষ্কার করতে থাকেন লুনাও। অনুভব করতে থাকেন, বদলে যাচ্ছেন তিনি! ‘শুটিংয়ে যোগ দেওয়ার পরই আমি মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলার আত্মবিশ্বাস পেলাম। আগে কখনও যা করতে পারতাম না আমি। মাথা নিচু রাখতেই অভ্যস্ত ছিলাম; কেননা, আমি ছিলাম শরণার্থী।’ ‘খেলাধুলার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এখন লুনা অন্য সবার মতোই। তার কোনো ঘাটতির জায়গা নেই খেলাধুলায় এসে আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।