আদালতের নির্দেশে কক্সবাজার জেলা কারাগারের অভ্যন্তরেই অবশেষে বিবাহকার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে সেলিনা বেগম ও দিদারুল ইসলাম দম্পতির। কাজীর উপস্থিতিতে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কাবিননামা সম্পাদন এবং সাক্ষ্যগণের উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম এই বিয়ের আয়োজন করেন। এ সময় উভয় পরিবারের কয়েকজন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। এই বিয়েতে সম্পাদিত কাবিননামায় দেনমোহর হিসেবে ধার্য করা হয় ৬ লাখ টাকা। তন্মধ্যে দুই লক্ষ টাকা নগদ পরিশোধ করা হয় এবং চার লক্ষ টাকা বাকী রাখা হয়।
বাদী সেলিনা বেগমের আইনজীবী মো. মিজবাহ উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এতে আমার মক্কেল সেলিনা বেগম ন্যায়বিচার তথা স্ত্রীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। অপরদিকে তিনমাসের সন্তান তামিমও পিতৃ পরিচয় পেয়ে যায়।
প্রসঙ্গত- গত সোমবার চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব একটি আদেশ দেন। আদেশে সেলিনা বেগম নামের এক মহিলা স্ত্রীর স্বীকৃতি এবং সেলিনার সাথে দিদারুল ইসলামের সম্পর্কের ফলে জন্ম নেওয়া তিনমাসের সন্তানও পিতৃ পরিচয় পেয়ে যায়। একইসাথে দণ্ডবিধি-৪৯৩ এর মামলার এই আদেশে বিচারক আসামি দিদারুলকে জামিন দিয়ে নির্দেশ দেন জেল সুপারের উপস্থিতিতে কক্সবাজার কারাগারে বিয়ের আয়োজন করে আসামি দিদারুল ইসলাম প্রকাশ শকুর সাথে মামলার বাদী সেলিনা বেগমকে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে পড়াতে। এর পর দিদারুলকে মুক্তি দিয়ে আদালতকে বিষয়টি অবহিত করতে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আদেশের পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয় এবং দুই পরিবারের সদস্যরা নবদম্পতিকে কারাফটকে বরণ করে বাড়ি ফেরে।












