আজ-কাল ভারী বৃষ্টির আভাস

জোয়ারে প্লাবিত শহরের নিম্নাঞ্চল

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৫ জুলাই, ২০২১ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি বাংলাদেশ থেকে সরে যাচ্ছে। বর্তমানে এটি ভারতের উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। লঘুচাপ সরে যাওয়ার কারণে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। অপরদিকে চট্টগ্রামে আজসহ আরো দুইদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলছে আবহাওয়া অফিস। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসানাৎ আজাদীকে বলেন, সুস্পষ্ঠ লঘুচাপটি বাংলাদেশ থেকে সরে গিয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অবস্থান করছে। লঘুচাপটি সরে যাওয়ার কারণে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে আজ ও কাল চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস শনিবার সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলেছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বাতাস দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক হতে ঘণ্টায় ১০-১৫ কি.মি. বেগে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৩৫-৪৫ কি.মি. বেগে প্রবাহিত হতে পারে। গতকাল চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ঝাড়খন্ড ও তৎসংলগ্ন উত্তর ছত্রিশঘর ও উড়িষ্যায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপর সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয়। মৌসুমী বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হামিদ মিয়া স্বাক্ষরিত শনিবারের আবহাওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকাল থেকে টানা বৃষ্টি ও অতি জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকা। বিশেষ করে আগ্রাবাদ সিডিএ, বন্দরটিলা, হালিশহর, বাকলিয়া ডিসি রোড, বগারবিলসহ অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ ও এসব এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিআরবিতে কোনো স্থাপনা নয়
পরবর্তী নিবন্ধব্যাংক খোলা সাড়ে ৩ ঘণ্টা, পুঁজিবাজারে লেনদেন ১০-১টা