কক্সবাজারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৮৩ জন। আগের দিনও এ মহামারীতে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত ৮ দিনে জেলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা উঠানামা করলেও মৃত্যু বেড়েছে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও হাসপাতালের র্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্টে ৮৩ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। আক্রান্তের হার ৩৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ১৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮৫৫ জন। সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ২৬ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। হোম আইসোলেশনে আছেন দুই হাজার ৩৬১ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন ৫৫২ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ কার্যকরে কক্সবাজারে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সকাল থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে এবং সড়কে টহল দেয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে তারা। এতে জরুরি কাজের জন্যে অনেককেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যটন জোনের কলাতলী মোড়ে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
তল্লাশি চৌকিতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে কেউ কেউ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় জরিমানার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে শহরের বাজারঘাটা, লালদীঘির পাড়, কালুর দোকান, গোলদীঘির পাড়, বাহারছড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল আজ অলিগলিতেও দেখা গেছে।
জেলার আট উপজেলায়ও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে তৎপর ছিল।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, জেলায় ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিম বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।