এবারের ঈদুল আজহায় নগরে জবাইকৃত কোরবানি পশুর চামড়ার গুণগত মান বাজার রাখার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়ার সংরক্ষণ, ক্রয় ও বিক্রয়, পরিবহনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বিভাগীয় পর্যায়েও পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
গঠিত কমিটির প্রধান হচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। সংস্থাটির সচিব খালেদ মাহমুদ এ কমিটির সদস্য সচিব। এছাড়া সাতটি সংস্থার প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়। সংস্থাগুলো হচ্ছে- বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি রেঞ্জ, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, মহাপরিচালক ইসলামী ফাউন্ডেশন, মহাপরিচালক আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ও এফবিসিসিআই। বাকি সদস্যরা হচ্ছেন- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক। পরবর্তীতে কমিটিতে চসিকের ৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে সংযুক্ত করা হয়।
নগরে তদারকির লক্ষ্যে গঠিত কমিটি গতকাল টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে সভা করেছে। সভা থেকে জানানো হয়, জবাইকৃত কোরবানি পশুর চামড়া যত্রতত্র ফেলে দেয়া যাবে না। কোন মৌসুমী ব্যবসায়ী যদি গত দুইবারের ন্যায় চমড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করে যত্রতত্র ফেলে দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তৎপর থাকবে বলেও জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, জবাইকৃত প্রতিটি পশুর চামড়া আট থেকে দশ কেজি লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা যাবে। এতে চামড়া নষ্ট হওয়া ও দুর্গন্ধ ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই।
সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, সরকার দীর্ঘ দিন পর এবার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকেও বলা হয়েছে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে চামড়া সংরক্ষণে প্রচার প্রচারণা চালানোর। শেষ মুহূর্তে যেহেতু সিদ্ধান্ত এসেছে এবার প্রাথমিকভাবে প্রচার প্রচারণা হিসেবে সিসিএলে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে।
সভায় জানানো হয়, নগরে আট লাখ নয় হাজার পশু জবাই হতে পারে। সরকার এবার এক কোটি বর্গফুট চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তা হতে হবে লোমবিহীন চামড়া। কাজেই পশু জবাই করার পর যেনতেনভাবে পশুর চামড়া ও পশুর কান এবং মাথার চামড়া ফেলে দেয়া যাবে না। বিসিক এবার পর্যাপ্ত লবন সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছে। কাজেই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লবনজাত করে তিন-চার দিন পশুর চামড়া সংরক্ষণ করতে পারবেন।
এতে অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলী, কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মোহাম্মদ জাবেদ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকতা ডিডিএলফি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর সহকারী পরিচালক ডা. কামরুল আযাদ, আনসার ভিডিপির রেঞ্জ কমান্ডার রাফিউল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভুষণ দাশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনে পরিচালক মো. সলিম উদ্দীন, বিসিক চট্টগ্রামের উপ মহাব্যবস্থাপক জামাল নাসের চৌধুরী, ডিআইজ অফিসের এসপি মো. হাসান বারী প্রমুখ। সভায় চসিকের উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।












