সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধে মামলা

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় রেল পরিবেশ সিডিএসহ ১৬ সংস্থাকে করা হয়েছে বিবাদী।। সমন জারি আদালতের

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২০ জুলাই, ২০২১ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে আন্দোলন। এবার বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ প্রাচীন এ জায়গা যাতে হারিয়ে না যায় এবং সেখানে যাতে হাসপাতাল গড়ে না উঠতে পারে সেজন্য সিনিয়র সহকারী জজ রুবায়েত ফেরদৌসের আদালতে গতকাল সোমবার একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম ওয়াসার সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রামের পরিচালক স্বাস্থ্য, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক, বিস্ফোরক দ্রব্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের জিএম (পূর্বাঞ্চল) ও এস্টেট অফিসার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে। জনস্বার্থে করা মামলাটিতে বাদী হয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ও দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু।
মামলায় তিনি দেওয়ানী কার্যবিধির ১ নং আদেশের ৮ নং রুল অনুযায়ী শহীদের সমাধি বেষ্টিত জায়গা ও শিরিষতলা রক্ষায় আদালতের কাছে একটি ঘোষণা প্রত্যাশা করেছেন। আদালতও মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের প্রতি সমন ইস্যু করেন। আইনজীবী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার এজহারের বর্ণনা দিয়ে আইনজীবী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, শিরিষতলা কেন্দ্রিক সিআরবি চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের জায়গা। এখানে প্রতিবছর বাঙ্গালীর অন্যতম পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়। এছাড়া খেলাধুলার পাশাপাশি দৈনিক হাজার হাজার মানুষ এ জায়গায় প্রাতঃভ্রমণে আসেন। ২০০৯ সালে এ জায়গাটিকে প্রাকৃতিক হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। মূলত কেউ যাতে ইমারত নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য এ জায়গাটিকে প্রাকৃতিক হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি সাত রাস্তার মোড়ের ঘোয়াল পাড়ায় থাকা শহীদ আবদুর রব কলোনীটিকেও পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রবের সমাধি রয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতাল নির্মিত হলে শিরিষতলা কেন্দ্রিক প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হবে। ধ্বংস করা ছাড়া এখানে হাসপাতাল নির্মাণ সম্ভব নয়। বীর সেনানীর সমাধি গুড়িয়ে দিয়ে যারা হাসপাতাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে তারা দেশদ্রোহী ছাড়া আর কিছু নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজেলখানায় হবে বিয়ে
পরবর্তী নিবন্ধজবাইকৃত পশুর চামড়া যত্রতত্র ফেলা যাবে না