পেকুয়ায় বিকাশ-এর বিতরণ অফিসের ভল্ট ভেঙে সাড়ে ৪৬ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আরো ১ ব্যাক্তিকে আটক করেছে র্যাব। আজ শনিবার (১৭ জুলাই) চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার কাজী ভবন থেকে জামাল উদ্দিন ফারুক (৬৬) নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক জামাল উদ্দিন ফারুক চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ১নং ব্লকের ঘোনার পাড়া এলাকার মৃত জনু মিয়ার পুত্র। এসময় তার ভাড়া বাসার খাটের নিচ থেকে শপিং ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় ১৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে র্যাব।
আজ র্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া এন্ড অপারেশনস্) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পেকুয়া বাজারের পূর্ব পাশে ইসমাঈল ম্যানশনের ৩য় তলায় অবস্থিত বিকাশ-িএর বিতরণ অফিসের তালা এবং ভল্ট ভেঙে একদল চোর সাড়ে ৪৬ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরের দিন পেকুয়া থানায় এবং র্যাবের কাছে বিতরণ অফিসের ইনচার্জ জাহেদুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।
১০ জুলাই পেকুয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়। (মামলা নং ০৫ তারিখ: ১০-০৭-২০২১ ইং)। ওই রাতেই অভিযানে ঘটনায় জড়িত সাইফুল ইসলাম (৩১) ও বিকাশ অফিসের কর্মচারী কফিল উদ্দিন (২২) নামের ২ ব্যক্তিকে র্যাব আটক করে তাদের কাছ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে।
পরদিন ১১ জুলাই আটক দুই ব্যক্তিকে পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
র্যাবের দেয়া তথ্য মতে এ পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা উদ্ধার হলেও আরো সাড়ে ১০ লাখ টাকার হদিস মেলেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, “বিকাশ-এর সাড়ে ৪৬ লক্ষ টাকা লুটের ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক ১ ব্যক্তিকে আজ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ১০ জুলাই ২ জন এবং ১১ জুলাই ১ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে তারা। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট ৪ ব্যক্তিকে আটক করা হলো। আটককৃতদের সবাইকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”