এটি সর্বজনবিদিত যে, বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের অনেক দেশের মতো পশুসম্পদ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও পরিচর্যায় বাংলাদেশের প্রায় সত্তর শতাংশ কৃষিনির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার জটিল সমীকরণে এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সূত্রমতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ছিল প্রায় ১৪.২১ শতাংশ। ২০১৪-১৫ সালের তুলনায় প্রায় ৩ হাজার ২৩ কোটি টাকা বেড়ে ২০১৫-১৬ সালে ৩২ হাজার ৯১০ কোটি টাকার জিডিপির আকারে ঊর্র্ধ্বমুখী ক্রমাগত প্রবণতা কৃষি অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত সুখকর বার্তা বহন করে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৬ অনুযায়ী প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের রোগ প্রতিরোধ টিকা বিক্রয়, কৃত্রিম প্রজনন ফি, ফার্ম ও কোম্পানিসমূহের নিবন্ধন ফি, চিড়িয়াখানা, সরকারি খামার এবং টেন্ডারসহ অন্যান্য খাত থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ৩৭ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। উল্লেখিত সময়ে জাতীয় রপ্তানিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অর্জন ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪২২ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ অসংঙ্গতি সত্ত্বেও দেশে বিকশিত অপরিকল্পিত নগর ও শিল্পায়নের বিপরীতে গ্রামীণ জনপদে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রায়োগিক উপলব্ধি অপরিমেয় অনুভূত হয়েছে। গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়া-মুরগি-হাঁস-জীববৈচিত্র্য সুরক্ষাসহ অন্যান্য পশুপাখির লালন-পালন এবং জ্যামিতিক হারে এর প্রবৃদ্ধি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দৃশ্যমান পরিপ্রেক্ষিত রচনা করেছে।
ঐতিহ্যগতভাবে দক্ষিণ ভারত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত প্রতিটি অঞ্চল ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম ব্যবস্থার অধীন। স্বনির্ভর অর্থনীতির ভিত্তিতে গ্রামগুলো ছিল পরিপূর্ণভাবে দারিদ্র্য- বৈষম্য- নির্যাতিত- নিপীড়নবিহীন। হিন্দু- বৌদ্ধ- মুসলিম শাসনকাল পর্যন্ত সচল ও স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপনের উৎসমূলে ছিল কৃষিসহ নানামুখী কুটির- তাঁত- পাট- হস্তশিল্প ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে ক্ষুদ্র হস্তচালিত যন্ত্রকৌশলের আবিষ্কার। ইংরেজ শাসনের কুৎসিত বেড়াজালে দ্রুতগতিতে এর অবদমন অভাবনীয়রূপ পরিগ্রহ করে। একদিকে ইংল্যান্ডের শিল্পকে চলমান রাখার স্বার্থে কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য ভারতের কৃষকদের উপর জোরপূর্বক অতি স্বল্পমূল্যে কাঁচামাল উৎপাদন-সংগ্রহ এবং অন্যদিকে উৎপাদিত পণ্যসমূহ ভারতে বাজারজাতকরণের নিষ্ঠুর যাঁতাকলে অর্থনীতিতে অনন্য উচ্চতায় থাকা ভারতবর্ষ দরিদ্র পণ্যকুঠিরে পরিণত হয়। প্রাসঙ্গিকতায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ভূমি লক্ষ্মী’ নিবন্ধে যথার্থই উল্লেখ করেছেন, ‘আজ শুধু একলা চাষির চাষ করিবার দিন নাই। আজ তাহার সঙ্গে বিদ্বানকে, বৈজ্ঞানিককে যোগ দিতে হইবে।’ আধুনিক সভ্যতার যাবতীয় বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান অর্জন এবং কৃষি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তার যথাযথ প্রয়োগ কৃষক মুক্তির অন্যতম পন্থা হিসেবে বিবেচিত।
ধারাবাহিকতায় অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান’র মতে মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘আমাদের চাষিরা হলো সবচেয়ে দু:খী ও নির্যাতিত শ্রেণি এবং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পিছনে নিয়োজিত করিতে হবে।’ উক্ত অমিয় বার্তা-নির্দেশনাকে প্রকৃতঅর্থে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী বিচক্ষণতা ও নিরলস কর্মকৌশল উদ্ভাবনে হতবাক করার মত দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। কৃষি শ্রমিকের প্রায় পাঁচভাগ মজুরী বৃদ্ধি, কৃষি উপকরণ সংগ্রহে বিভিন্ন ভর্তুকি সহযোগিতা, বিদ্যুৎ-শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা-মোবাইল সংযোগ ইত্যাদির কারণে কৃষি উৎপাদনের সমান্তরাল নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে করেছে প্রভূত প্রাণসম্পন্দনে উদ্বেলিত। বিভিন্ন সূত্রমতে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দেশে প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ পশু জবেহ করা হবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে পূর্বে গরু আমদানি-চোরাচালানের মাধ্যমে আসার সংখ্যা এখন প্রায় শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। বিবিএস কৃষিশুমারি ২০২০ এর প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে দেশে গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫টি, মহিষের সংখ্যা ৭ লাখ ১৮ হাজার ৪১১টি, ছাগলের সংখ্যা ১ কোটি ৯২ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৩টি, ভেড়ার সংখ্যা ৮ লাখ ৯২ হাজার ৬২৮টি। পশু সম্পদের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ছাগলের দুধ উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং ছাগলের গোশত ও সংখ্যার বিচারে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।’
বিশ্বজনীন আশংসিত সত্য যে; পবিত্র ইসলাম ধর্মের মৌলিক স্তম্ভ হচ্ছে কলেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব ও যাকাত। এই অবশ্য পালনীয় রোকনসমূহের মধ্যে রোজা পালন এবং হজ্ব আদায়ের সাথে সম্পর্কিত ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আযহার তাৎপর্য অপরিসীম। পুরো একটি মাস মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধির প্রতিফলনের উপহার স্বরূপ ঈদ-উল ফিতর এক অপূর্ব উৎসব। একই ধারায় ঈদ-উল আযহা বা মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য পশু জবেহ্ করে সবাইকে নিয়ে আনন্দ সহকারে ভোজন-বিতরণ উৎসব অত্যন্ত উপভোগ্য। এই ঈদ-উল আযহাকে কেন্দ্র করে আমাদের কৃষি সমাজে গবাদি পশুর লালন-পালন এবং গ্রাম-অর্থনীতির চাকাকে সচল করার অনবদ্য এক পন্থা হিসেবে প্রচলিত। পবিত্র ইসলাম ধর্মে সাম্য ও ধনী-দরিদ্রের ব্যবচ্ছেদ নিধনকল্পে যাকাত প্রদানসহ যাবতীয় কর্মযজ্ঞে অসাধারণ বৈষম্যবিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার সর্বত্রই সমাদৃত। মূলত ইসলাম শব্দটি ‘আসলামা’ থেকে উদ্ভূত যার নির্যাস হলো শান্তি এবং ‘মুসলমান’ শব্দের অর্থ হলো আত্মসমর্পণকারী। এই সর্বোচ্চ মহানুভব মর্ত্যজয়ী ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তাফা (সঃ) এর ৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে। আমাদের হয়তো অনেকেরই জানা যে, শাস্ত্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মোটামুটি খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০০-৬০০০ বছরের সময়সীমাকে আদি পিতা হযরত আদম, ২০০০-১০৫৬ হযরত নূহ, ২০০০-১৭০০ হযরত ইব্রাহীম, ১৩০০ হযরত মূসা, ১০০০ হযরত দাউদ, ৯০০ হযরত সোলায়মান, ১-৩০ খ্রিষ্টাব্দ হযরত ঈসা এবং ৫৭০-৬৩২ হযরত মুহাম্মদ (স:) এর কালের আবর্তে মানব জাতির ধর্মীয় ক্রমান্বয়কে বিবেচনা করা হয়।
‘ধর্ম’ শব্দটি ‘ধৃ’ ধাতু থেকে নেয়া হলেও এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ধারণ করা। নিজের ও অপরের জীবন সমৃদ্ধিতে নিবেদিত সকল কর্মেরই যোগফল হচ্ছে ধর্ম। আধুনিক দার্শনিকদের মতে ধর্মের সংজ্ঞা অনেকটা জটিল ও ব্যাখ্যা সম্বলিত। ‘হযরত নূহের প্লাবনের পর কা’বা শরীফ পুন:প্রতিষ্ঠার দিন হযরত ইব্রাহীম (আঃ) হযরত মুহাম্মদ (স:) এর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। এসময়েই তিনি আল্লাহ নিকট সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং দুইপুত্রসহ (ইসমাইল ও ইসহাক) উভয়কেই ‘মুসলিম’ (আত্মনিবেদিত) বলে ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘোষণা বাণী থেকেই ইব্রাহীমের বংশধরগণ মুসলিম বা মুসলমান হিসেবে পরিচিত হন’ (বাঙালির ধর্মচিন্তা : ২০১৪)। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) মহান আল্লাহর কাছে সর্বোচ্চ আত্মসমর্পণকারীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং তাঁর পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষেই নিজের সর্বোত্তম প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাইল (আঃ) এর জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। সেই থেকে মানুষের জীবনের পরিবর্তে পশুর প্রাণ নিবেদনের মাধ্যমেই পবিত্র কোরবানির প্রচলন শুরু হয়। ঈদ-উল আজহাখ্যাত এই ঈদ জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখে নামাজ আদায় শেষে পশু জবেহ্ করে ইসলাম ধর্মের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোরবানি ঈদ উদ্যাপন করা হয়।
পবিত্র ইসলাম ধর্মে শিক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে; প্রতিক্ষেত্রে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে ন্যায়-নীতির মানদণ্ডে জীবন প্রবাহের সকল কার্যক্রমের প্রতিপালন। অন্যথায় সততা-ন্যায়পরায়ণতা-মানবিকতা-নৈতিকতা বিবর্জিত কর্তব্য পালনে বিচ্যুতি ইহকাল ও পরকালকে নি:সন্দেহে কলুষিত করবেই। ন্যূনতম ধর্মে বিশ্বাসী কোন মানবের পক্ষে গর্হিত কর্মের সাথে সম্পর্কিত হওয়া মহান স্রষ্টার দৃষ্টিতে ক্ষমাহীন অপরাধ। মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের কৃতকর্মগুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে মূল্যায়ন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “হে মানুষ সকল! তোমাদের অবাধ্যতা ও বিদ্রোহীতার কুফল তোমাদের উপরই পতিত হবে, দুনিয়ার জীবনের মাল-দৌলত কিছুদিন উপভোগ করে নাও অত:পর আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে, তখন আমি ঐ সকল কাজের বাস্তবতা সম্পর্কে তোমাদের জানিয়ে দিব যা তোমরা করতে।” [সূরায়ে ইউনুস : ২৩]
সকল ধরনের কুকর্ম-কুবৃত্তি-কুপ্রবৃত্তি-দুর্বৃত্তায়ন-নিরীহ ও অসহায় মানুষকে ঠকানো থেকে পরিপূর্ণ নিজেকে বিরত রেখে ধার্মিকতার মাধুর্য ও সৌন্দর্যের প্রতিপালনই মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টির অপরূপ পন্থা। চরিত্রহীনতা-অন্যের সম্পদ লুন্ঠন-অবৈধ অর্থলিপ্সু সম্পদ উপার্জন ব্যয়ের মাধ্যমে মসজিদ নির্মাণ, বারং বার হজ সম্পাদন, বিশাল অঙ্কের বহুসংখ্যক গবাদিপশু জবেহ করে ক্ষমতা বা আধিপত্য প্রচার-প্রসার ও পাকাপোক্ত করার উদ্দেশ্যে সম্পাদিত সকল কর্মই পবিত্র ইসলাম ধর্মে প্রচণ্ড পাপাচার। কোরবানির পশু জবেহ করে লোক দেখানো ধর্ম-কর্মের আড়ম্বতা ধর্ম-সভ্য সমাজ স্বীকৃত নয়। বিশ্বাস ও আস্থাহীনতাকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার জন্যই অত্যন্ত পবিত্র প্রিয় রসূলের সুন্নতের অমর্যাদা করে শুধুমাত্র অসৌজন্য লৌকিকতায় দাড়ি, টুপি, নামাজ আদায়ে কপালে কালো দাগ; পবিত্র ইসলামকে নয় বরং ধর্মবিরোধী কার্যকলাপের অধর্মকেই জ্ঞাপিত করে। প্রত্যেক ধার্মিক মুসলমানের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত যে; বিশ্বাস ও কর্মের পিছনে রয়েছে যৌক্তিক-প্রজ্ঞা-অসাম্প্রদায়িকতা তথা সামগ্রিক মানবধর্মের সৌহার্দ-সম্প্রীতি-বন্ধুত্ব ও প্রীতির নিগূঢ় বন্ধন। কোরবানির সারবত্তা হচ্ছে; অর্থ বিত্তের বিনিময়ে নিছক পশু জবেহ নয়, অন্তরের প্রগাঢ় অন্ধকার ও হিংস্র পশুত্বকে নির্মূল করা না গেলে উপযাচিত এসব কর্ম কখনোই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থিত হবে না – নি:সন্দেহে তা বলা যায়।
পবিত্র কোরআন, হাদিস ও প্রিয় রসূল (সঃ) এর জীবন আদর্শের সঠিক অনুকরণ, অনুশীলন ও পরিচর্যা ব্যতিত পরিশুদ্ধ মুসলমানের চরিত্র অর্জনের অপচেষ্টা অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত বলেই বিবেচিত হবে। কবি নজরুল ইসলামের ‘হিন্দু-মুসলমান’ প্রবন্ধে প্রতিধ্বনিত বাণী- ‘ন্যাজ যাদেরই গজায়- তা ভিতরেই হোক আর বাইরে হোক – তারাই হয়ে ওঠে পশু। যে সব ন্যাজওয়ালা পশুর হিংস্রতা সবল হয়ে বেরিয়ে আসে বাইরে- শৃঙ্গরূপে, তাদের তত ভয়ের কারণ নেই, যত ভয় হয় সেই সব পশুদের দেখে – যাদের হিংস্রতা ভিতরে, যাদের শিং মাথা ফুটে বেরোয়নি। শিংওয়ালা গরু-মহিষের চেয়ে শৃঙ্গহীন ব্যাঘ্র-ভল্লুক জাতীয় পশুগুলো বেশি হিংস্র-বেশি ভীষণ। এ হিসেবে মানুষ পড়ে ঐ শৃঙ্গহীন বাঘ-ভালুকের দলে। কিন্তু, বাঘ-ভালুকের তবু ন্যাজটা বাইরে, তাই হয়ত রক্ষে।’ করোনাকালীন এই দু:সময়েও দেশের কৃষকসমাজ নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিক সপ্রণোদনে পশুসম্পদে দেশকে স্বনির্ভর করার অত্যুজ্জ্বল প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়। আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে এই পশু সম্পদের ক্রয়-বিক্রয় অন-অফলাইন, উন্মুক্ত হাট-বাজার বা যেকোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক না কেন; কৃষক যেন পশুর ন্যায্যমূল্য পেতে সঙ্কটমুখী না হয়। যেসব চ্যালেঞ্জসমূহ বারবার পশুসম্পদ উৎপাদনকারীদের নিগূঢ় নিরুৎসাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তার সমূহ পরিত্যাজ্যতা একান্তই কাম্য।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।












