পারিবারিক কলহের জের ধরে চন্দনাইশে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম মো. বাচা মিয়া (৩২)।
আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাড়ির ভিতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে নিহত বাচা মিয়ার ভাই মো. জাবেদ বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার বাচা মিয়া পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। তিনি হাশিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাশিমপুর এলাকার রোজিনা আকতার নামে এক মহিলাকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় নিজের ঘরে বসবাস করে আসছিলেন।
এরমধ্যে গত বছর বাচা মিয়া বান্দরবান জেলার বালাঘাটা এলাকার শাহেদা আকতার নামে অপর এক মহিলাকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে ১ম স্ত্রী রোজিনার সাথে তার মনোমালিন্য শুরু হয়। বাচা মিয়া তার ২য় স্ত্রী শাহেদাকে নিয়ে বালাঘাটা এলাকায় চলে যান এবং সেখান থেকে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকতেন। তার ১ম স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করে বলে জানা যায়। তাদের সংসারে ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে, গত ১৫ জুলাই রাতে দক্ষিণ হাশিমপুরে তার বাড়িতে আসেন বাচা মিয়া। সেখানে বাড়ির বিমের সাথে অটোরিকশার ব্রেকের তার দিয়ে গলায় ফাঁঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
পরদিন ১৬ জুুুলাই ঘরের বিমে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি জানানো হয়।
মেম্বার বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে বলে এসআই নিমাই সাংবাদিকদের জানান।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, “নিহত বাচা মিয়ার ২টি সংসার। এ নিয়ে তার সাথে ১ম স্ত্রীর মনোমালিন্য ছিল। তাছাড়া তার প্রথম স্ত্রী দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন। মনোমালিন্য ও অশান্তির কারণে তিনি বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
এ ব্যাপারে তার ভাই জাবেদ বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান ওসি।