কাপ্তাই উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ডা. প্রিয় লাল মুহুরী (৫০) নামে এক ফার্মাসিস্টের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে কাপ্তাই উপজেলায় ১০৮ জন করোনা রোগী রয়েছেন। তারা সবাই চিকিৎসকের পরামর্শে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রতিদিন কাপ্তাই উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি দিন দিন ভয়ানক অবস্থার দিকে যাচ্ছে বলে চিকিৎসকরা মন্তব্য করছেন।
তবে এই পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছেন না বলেও চিকিৎসকরা আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. ওমর ফারুক রনি জানান, ডা. প্রিয় লাল মুহুরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে করোনা চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসায় তিনি সুস্থও হয়েছিলেন। তবে তার উচ্চ মাত্রায় ডায়াবেটিস ছিল।
তিনি কিছুটা সুস্থ অবস্থায় কাপ্তাই থেকে চট্টগ্রামে যান এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। করোনা পরবর্তী জটিলতায় ডা. প্রিয় লাল মুহুরী গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন।
ডা. মো. ওমর ফারুক রনি বলেন, “কাপ্তাই উপজেলায় প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও মানুষের মাঝে সচেতনতা নেই। বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরেন না। স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাইও নেই।” কাপ্তাই প্রজেক্ট, উপজেলা সদর বরইছড়ি, কেপিএম শিল্প এলাকা এবং চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল এলাকা বর্তমানে করোনা হটস্পট বলে মন্তব্য করেন ডা. ওমর ফারুক।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, “মানুষকে সচেতন করতে আমরা সারাক্ষণ মাঠে থেকে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হতে অনুরোধ জানাচ্ছি। আইন না মানায় অনেককে জরিমানাও করেছি। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। মানুষ অকারণে বাজারে-দোকানে বসে আড্ডা দেন, মাস্ক না পরে যত্রতত্র ঘোরাঘুরি করেন। স্বাস্থ্যবিধিও কেউ মানতে চান না।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ নিজ থেকে সচেতন না হলে আইন প্রয়োগ করে কাউকে সচেতন করা কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।