নারায়ণগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫২ জন শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে এবং ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ও চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত। এতে নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং দায়ীদের চিহ্নিত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে নিহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ তথা জনপ্রতি কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সফর আলী, শ্রমিকদল চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. মতিদ্দৌলা, যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকলেও নারায়ণগঞ্জের সেজান জুস কারাখানায় মারা যাওয়া অধিকাংশ শ্রমিকের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে উদ্বৃত করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ছয় বছরে দেশে প্রায় ৬ হাজার ৮১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৩৭২ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু এসব অগ্নিকাণ্ডে কতজন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন তার উল্লেখ নেই। সেজান জুস কারখানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল, যার দায় বিস্ফোরক অধিদপ্তর কোনভাবেই এড়াতে পারেনা। ভরা মৌসুমে সেজান জুস কারখানায় কোন আম বা অন্য কোন ফলের চিহ্ন ছিলনা। তারা ক্যামিকেলে বিভিন্ন ফলের ফ্লেবার দিয়ে জুস হিসাবে বিক্রি করে সাধারণ মানুষকেও ধোঁকা দিচ্ছে।