১৫ জুলাই থেকে সাত দিন চলবে সব ট্রেন

ফাঁকা থাকবে অর্ধেক আসন আজ থেকে অনলাইনে টিকিট

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৩ জুলাই, ২০২১ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন ঈদ সামনে রেখে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। তবে শুধু কমিউটার ট্রেন ছাড়া সব ধরনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে বলে রেলওয়ে থেকে জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ১৩ জুলাই সকাল থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে রেলমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরিফুল আলম। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রেনের টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট দেয়া হবে না। পরবর্তী সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপনের আলোকে দেয়া হবে।
এর আগে গত ২৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হলে সারা দেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি করায় সব ধরনের গণপরিবহন (বাস-ট্রেন) বন্ধ রয়েছে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী আজাদীকে জানান, ট্রেন চালানোর ব্যাপারে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। অর্ধেক আসনে ট্রেন চলাচলের কথা বলা হয়েছে। এই অর্ধেক আসনের সব টিকিটই অনলাইন থেকে কাটবেন যাত্রীরা। তবে কোন কোন ট্রেন চলবে সেই ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত হবে।
ঈদের প্রস্তুতির ব্যাপারে তিনি বলেন, অন্যান্যবারের মতো অধিক কোচ সংযোজন বা বাড়তি যাত্রী পরিবহন করা হবে না। স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী যাতে না আসে সেই ব্যাপারে সর্তক করা হবে। যারা আসবেন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টেশনে প্রবেশ করবেন।
আগামী ২১ জুলাই বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদের আগে যাতে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা বাড়ি যেতে পারেন এজন্য ১৫ জুলাই থেকে ট্রেন ও বাস চলাচলের সুযোগ দিয়েছেন সরকার। যারা বাড়ি যাবেন তাদেরকে ঈদের পরদিন ২২ জুলাই আবার ফিরে আসতে হবে।
করোনা ভাইরাস রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত আটদিন শর্তসাপেক্ষে শিথিল করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঈদ সামনে রেখে দোকানপাট-শপিংমল এবং গণপরিবহনও সীমিত পরিসরে চালুর চিন্তা করা হচ্ছে। এদিকে চট্টগ্রামে গতকাল থেকে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। ১৫ জুলাই থেকে রাজধানীতে পশুরহাট বসানোরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড
পরবর্তী নিবন্ধঈদ পর্যন্ত লকডাউন শিথিল