সাতকানিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে নারীসহ ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাতকানিয়া পৌরসভার চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল রাত সাড়ে দশটার দিকে সাতকানিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকার মৃত হামিদ আলীর ছেলে সৈয়দ আহমদের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় নারীসহ ৫ জন দগ্ধ হন। আগুনে দগ্ধরা হলেন চরপাড়ার সৈয়দ আহমদের মেয়ে ও লোহাগাড়ার কিল্লার আন্দর এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী খালেদা বেগম (৪২), তার স্বামী মো. শাহ আলম (৫৫), তাদের ছেলে মো. শাহনেওয়াজ (২৪), চরপাড়ার মৃত আলী আহমদের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৫০) ও মৃত আবদুস শুক্কুরের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন (৩৬)।
খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
সাতকানিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আলম সোহেল জানান, চরপাড়ার সৈয়দ আহমদ গতকাল সন্ধ্যায় আনু ফকিরের দোকান এলাকা থেকে বাড়ির জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার আনে। রাত সাড়ে দশটার দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেড়াতে আসা তার মেয়ে খালেদা বেগম রান্না ঘরে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়। তখন খালেদার চিৎকার শুনে তার স্বামী মো. শাহ আলম ও ছেলে শাহনেওয়াজ রান্না ঘরে ছুটে যায়। এসময় তারা দুইজনও দগ্ধ হয়।
পরে তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী দেলোয়ার ও হেলাল দৌড়ে গিয়ে দগ্ধদের বাঁচাতে গিয়ে তারাও দগ্ধ হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে সিলিন্ডারটি পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, “পৌরসভার চরপাড়া এলাকায় আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে ৫ জন দগ্ধ হয়েছে। তখনও আগুন জ্বলছিল। আমরা পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে দগ্ধ হয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।”
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুর মজিদ ওসমানী বলেন, “আগুনে দগ্ধ হয়ে ৪ জন হাসপাতালে এসেছিল। তাদের মধ্যে হেলাল উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়া, অন্যান্যদেরও নাক ও মুখ পুড়েছে। তাদের শ্বাসনালীও পুড়েছে। ফলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।”