একে একে ঝরে পড়ল সব তারা। সবশেষ বিদায় নিতে হলো ইউরোপের ফুটবলের সুপার পাওয়ার স্পেনকে। ক্লাব ফুটবলে এখন সবচাইতে সেরা আসর স্পেনিশ লিগ। ইতালিয়ানরা তাদের ঐতিহ্যকে হারিয়ে খুজছে। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখনো অপ্রতিরোধ্য ইতালি সেটা প্রমাণ করল ইউরোর ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে। ইউরোপের ফুটবলের দুই সুপার পাওয়ারের লড়াইয়ে শেষ হাসিটা ইতালির। স্পেনকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল ইতালি। যদিও টাইব্রেকারের ভাগ্য খুব একটা সুপ্রসন্ন নয় ইতালির। কিন্তু সঠিক সময়ে ঠিকই জয় তুলে নিল মানচিনির দল। নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিটের খেলা ছিল ১-১ গোলে ড্র।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে দারুন প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ফুটবল খেলেছে ইতালি এবং স্পেন। যদিও ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখল এবং আক্রমণে এগিয়ে ছিল স্পেন। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় ইতালি। তবে সেটা প্রথমার্ধে নয়। প্রথম ৪৫ মিনিট ছিল গোলশূন্য। তবে ফুটবলের সব রস ছিল খেলায়। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট অব্যাহত থাকে স্পেনের। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না। তবে স্পেন ব্যর্থ হলেও খেরার ৬০ মিনিটে অপ্রত্যাশিতভাবে গোল পেয়ে যায় ইতালি। মার্কো ভেরাত্তির বাড়ানো বল ডি-বঙের মুখে রুখে দিয়েছিলেন এমেরিক লাপোর্ত, কিন্তু বল চলে যায় চিয়েসার পায়ে। দারুন এক শটে চিয়েসা বল পাঠিয়ে দেন জালে। এগিয়ে যায় ইতালি। পিছিয়ে পড়ার পরই ফেররান তরেসকে বসিয়ে মোরাতাকে নামান কোচ। শেষ পর্যন্ত সেই মোরাতাই স্পেনকে রক্ষা করে। ওলমোর বাড়ানো বল ধরে দারুন এক প্লেসিং শটে গোল করে সমতায় ফেরান মোরাতা স্পেনকে। শেষ পর্যন্ত সেই ১-১ ব্যবধানে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয় ম্যাচের ১২০ মিনিট। যেই মোরাতা গোল করে নায়ক বনে গিয়েছিলেন সেই মোরাতাই টাইব্রেকার মিস করে বনে যান ভিলেন। ফলে চোখের জলে বুক ভাসিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্পেনকে। অপরদিকে ইউরোর ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি আরো একটি রেকর্ড গড়েছে ইতালি। আর তা হচ্ছে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত আজ্জুরিরা। এখন সেটাকে ৩৪ ম্যাচে উন্নীত করতে পারে কিনা ইতালি সেটাই দেখার অপেক্ষা। আর সেটা করতে পারা মানে ইউরোপ সেরার মুকুট উঠবে ইতালির মাথায়।