সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুরে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে বসবাসরত ১০পরিবার। তবে পাহাড়ঘেঁষা নির্মাণাধীন ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সমাদ্দরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে পাহাড়ধসের খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশেপাশে বসবাসকারীদের দ্রুত ওই পাহাড় এলাকা ত্যাগ করে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহাদাত হোসেন বলেন, পাহাড়ের ধার ঘেঁষে নির্মিতব্য ঘরটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরের চাল না থাকায় একটি কক্ষে পাহাড়ের ধসে পড়া মাটি ঢুকেছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রায় একশ’ একর সরকারি পাহাড় দখল করে অবৈধভাবে বিক্রি করছে বি-বাড়িয়া জেলার নাছির নগর থানার গুনিয়াউক গ্রামের জনৈক আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি। ওইস্থানে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে প্রায় ২০ পরিবার। আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে সরকারি এ পাহাড়ের মাটি কেটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসতঘর তৈরি অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঢালে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে তারা। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে এখানে ছোট বড় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সকালেও এখানে বসতঘরের উপর একটি পাহাড় ধসে পড়ে, ভাগ্যক্রমে এতে কোন ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রবল বর্ষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেকোন সময় পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ফিরোজ মিয়া বলেন, পাহাড়টির মাটি ছিল বেলে। যার কারণে অল্প বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, পাহাড়ধসের ঘটনায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছি। নির্মাণাধীন ঘরের কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এক পুলিশ সদস্য পাহাড় কেটে পজিশন তৈরি করছেন বলে অভিযোগ পেয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ওই পুলিশ সদস্যের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করবেন বলে তিনি জানান।