শিশু আইন অনুসরণেই মাগুরায় হবে দুই সন্তানের জিজ্ঞাসাবাদ

মিতু হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১ জুলাই, ২০২১ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে (একজনের বয়স ১২, আরেক জনের বয়স ৭) জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ‘তদন্ত কর্মকর্তাকে মাগুরা যেতে হবে’। সেখানে থাকা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় অথবা মাগুরা জেলা সদরে থানা হবে জিজ্ঞাসাবাদের স্থান। তদন্ত কর্মকর্তা সুবিধাজনক সময়ে শিশু আইনের বিধান অনুসরণ করেই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তবে সময় ও তারিখ নির্ধারণ করে তিন দিন আগে দুই শিশুর হেফাজতকারী দাদা ও চাচাকে জানাতে হবে।
গতকাল বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ ও শিশু আদালতের বিচারক ফেরদৌস আরা দুই শিশুর হেফাজতকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে অধিকতর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, দুই শিশুর হেফাজতকারী তাদের দাদা ও চাচা সময় ও তারিখ অনুযায়ী তাদেরকে সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় অথবা থানায় হাজির করতে বাধ্য থাকবেন। দুই শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষেত্রে শিশু আইন ২০১৩ এর ৫৩ ও ৫৪ ধারা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও আদেশে বলা হয়।
ট্রাইব্যুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল আলম আজাদীকে বলেন, আবেদন অনুযায়ী দুই শিশুর বর্তমান অবস্থান মাগুরায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদেশ দেয়া হয়েছে। আদালত স্পষ্ট করেই বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই শিশু আইনের বিধান অনুসরণ করতে হবে।
গত ১৩ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বাবুল-মিতুর দুই সন্তানকে সশরীরে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ হয়। তাতে আপত্তি জানিয়ে দুই শিুশুর হেফাজতকারী দাদা ও চাচা গত রোববার আদালতে একটি আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন আমলে নেন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ ও শিশু আদালতে বিষয়টি অগ্রবর্তী করেন। অধিকতর শুনানি ও আদেশের জন্য গতকাল ৩০ জুনের জন্য দিন ধার্য করেন। মিতুর মৃত্যুর পর থেকে বাবুল আক্তারের দুই শিশু দাদা ও চাচার সাথেই ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপলিথিন বন্ধে কঠোর অবস্থান
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম থেকে সপ্তাহে ৩ দিন পণ্যবাহী ট্রেন যাবে জামালপুর