লকডাউনে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্যের চালান চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের দাবি জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান সীমিত পরিসরের লকডাউন আগামী ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনে রূপ নিচ্ছে। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী লকডাউনে পোশাক শিল্পসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম আওতামুক্ত রাখা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আমদানিকৃত সকল পণ্য প্রাইভেট আইসিডি (অফডক) থেকে পণ্য খালাস নেয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করছে এমন তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। বর্তমানে প্রাইভেট আইসিডিগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা, যন্ত্রপাতি ও শ্রমিক স্বল্পতায় পণ্য খালাসে দীর্ঘসূত্রতাসহ প্রচুর সময়ক্ষেপণ হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যেখানে দুই দিনের মধ্যে মালামাল খালাস করা যায়, সেখানে প্রাইভেট আইসিডি থেকে ৬/৭ দিন পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে। এছাড়াও প্রাইভেট আইসিডি’র চার্জ চট্টগ্রাম বন্দরের চার্জ থেকে অনেক বেশি। অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে প্রাইভেট আইসিডি থেকে মালামাল খালাস করা বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এছাড়া বন্দরে জাহাজ ও কন্টেনার জট থেকে উত্তরণে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্যের চালান দ্রুত খালাসে বিজিএমইএ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশনা প্রদানসহ জোর মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে। ফলে বন্দর থেকে পণ্য চালান খালাস দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পোশাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় সময়ক্ষেপণ রোধ ও অতিরিক্ত চার্জ প্রদান ব্যতীত আমদানিকৃত পণ্য চালান বন্দর থেকে খালাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম চিঠিতে আরো উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানা। ক্রেতারা অর্ডার বাতিল বা স্থগিত করছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এর প্রেক্ষিতে পোশাক শিল্পের মালিকগণ শিল্পের ভবিষ্যত ও শ্রমিকদের মজুরি প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।